নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আর মাত্র কয়েকটা ঘণ্টা। তারপরই এ মাঠে তাঁর দল খেলবে স্বেপ্নের বিশ্বকাপ ফাইনাল। নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টেডের আশা, তিন দশক আগের অষ্টাদশী তরুণ যেসব জানলার কাঁচ তিনি ঘষে ঘষে পরিষ্কার করতেন, তার কয়েকটা ভেঙে যাক তাঁর দলের ব্যাটসম্যানদের সীমানা পার করা শটে। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। এই সেই স্টেড যিনি একসময় ছিলেন মাঠকর্মী, করেছেন স্কোরকার্ড বিলি- আজ ২৯ বছর পর সেই মাঠেই স্টিড ফিরেছেন অন্য ভূমিকায়। এবার বিশ্বকাপ ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের প্রধান কোচ হিসেবেই যে তিনি বসবেন ড্রেসিং রুমে, সাজাবেন রণকৌশল।
মাঠকর্মী, টেস্ট ক্রিকেটার, তারপর কোচ হয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে আসা। জীবন মানুষকে কত রঙের ছবি যে দেখায়, দলের অনুশীলন শেষে সেই গল্পই যেন শোনালেন স্টেড, ‘১৯৯০ সালে আমি এখানে ভাগ্যবান মাঠকর্মী ছিলাম। আমার কাজের মধ্যে ছিল জানালার গøাস পরিষ্কার করা, স্কোরকার্ড বিলি করা।’
ফাইনালের আগেও অবশ্য কোচ হিসেবে আরেকবার লর্ডসে আসা হয়েছিল স্টিডের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লিগ পর্বের ম্যাচে তার দল ভালো করতে পারেনি (৮৬ রানে হেরেছিল)। কিন্তু ব্যক্তিগত জায়গা থেকে ভিন্নরকম অনুভূতিতে ভেসেছিলেন স্টেড। ফাইনালে নিজের অতীতের গল্পের সঙ্গে আরও বড় উপলক্ষে লর্ডসকে একেবারেই জড়িয়ে রাখতে চান, ‘এখানে ফিরে আসা আমার জন্য বিশেষ অভিজ্ঞতা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে (লিগ পর্বের ম্যাচ) এখানে যে ম্যাচ খেলেছি আমরা জন্য সেটা দারুণ অনুভূতির ছিল। এখন এটা আরও বিশেষ উপলক্ষ বানাতে চাই।’
একদিকে যেখানে স্মৃতির পাতা হাতড়ে কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি স্টেড, ঠিক তার উল্টো চিত্র ইংল্যান্ড শিবিরে। দলটির কোচ হিসেবে ট্রেভর বেলিসের ওজন বেশ ভারীই। সাতাশ বছর পর বিশ্বকাপ ফাইনালে তার দল, তাও আবার চিরশত্রু অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে। কিন্তু এখনই উচ্ছ¡সিত হওয়ার কোনও কারণ দেখছেন না ইংলিশ কোচ বেলিস।
এখনও একটা ম্যাচ বাকি। আসল ম্যাচটাই বাকি। তাই চারদিকে যতই হৈহল্লা হোক, তা কানে তুলতে নারাজ বেলিস। লক্ষ্য থেকে একচুলও চোখ সরাচ্ছেন না তিনি, ‘আমাদের এখনও আসল কাজটাই বাকি। এখনই এসব আওয়াজে কান দিলে আমাদের চলবে কী করে? এই তো সেমিফাইনালের পর সবাই আড্ডা মারছিলাম ড্রেসিংরুমে, তখন সবাই সমস্বরে বললো, এখনও তো আমরা কিছুই জিতিনি। তবে কিসের এত উৎসব? ওসব ফেভারিটের তকমা-টকমা নিয়ে ভাবলে আমাদের চলবে না।’
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই ফেভারিট ইংল্যান্ড। কিন্তু তা সত্তে¡ও তো লীগ পর্যায়ে হোঁচট খেয়ে সেমিফাইনালের আগেই প্রায় ছিটকে যেতে বসেছিল। মরণবাঁচন ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে আর তারপর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে অবশ্য সেমিফাইনালে শেষ পর্যন্ত পৌঁছে যায় তারা। বেলিস মনে করেন, যেভাবে খেলে তারা ইদানীং সাফল্য পেয়েছেন, ফাইনালেও সেভাবে খেলতে পারাটা খুব জরুরি, ‘গত চার বছর ধরে যেভাবে খেলে আমরা এই জায়গায় পৌঁছেছি, আর একটা ম্যাচ শুধু সেভাবে খেলে যেতে হবে। পদ্ধতিটুকু অনুসরণ করে যেতে হবে, ব্যাস। তাহলে আমাদের ভালো খেলা কেউ আটকাতে পারবে না।’
পরিসংখ্যানে ওয়ানডেতে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড
মুখোমুখি ইংল্যান্ড নিউজিল্যান্ড টাই/পরি.
ওয়ানডেতে ৯০ ৪১ ৪৩ ২/৪
ইংল্যান্ডে ৩৮ ১৭ ২১ ০/০
বিশ্বকাপে ৯ ৪ ৫ ০/০
সর্বাধিক ম্যাচ
ইংল্যান্ড : অ্যালান লাম্বা, ৩০টি
নিউজিল্যান্ড : রস টেলর, ৩৪টি
অধিনায়ক হিসেবে
ইংল্যান্ড : এউইন মরগ্যান/বব উইলিস, ১৩টি করে
নিউজিল্যান্ড : জিওফ হোরাথ/ম্যাককালাম, ১৩টি করে
সর্বোচ্চ দলীয়
ইংল্যান্ড : ৪০৮/৯, বার্মিংহাম ২০১৫
নিউজিল্যান্ড : ৩৯৮/৫, দ্য ওভাল ২০১৫
সর্বনি¤œ দলীয়
ইংল্যান্ড : ৮৯, ওয়েলিংটন ২০০২
নিউজিল্যান্ড : ১৩৪, ক্রাইস্টচার্চ ১৯৮৪
বড় জয়
ইংল্যান্ড : ২১০ রানে ও ৮ উইকেটে
নিউজিল্যান্ড : ১৫৫ রানে ও ১০ উইকেটে
সর্বাধিক রান
ইংল্যান্ড : জো রুট, ২০ ম্যাচে ৯২৫
নিউজিল্যান্ড : রস টেলর, ৩৪ ম্যাচে ১৪০৯
সেরা ইনিংস
ইংল্যান্ড : ডেভিড গোয়ের ১৫৮
নিউজিল্যান্ড : মার্টিন গাপটিল ১৮৯*
সর্বাধিক সেঞ্চুরি
ইংল্যান্ড : বেয়ারস্টো (৭)/রুট (২০), ৩টি করে
নিউজিল্যান্ড : রস টেলর, ৩৪ ম্যাচে ৫টি
সর্বাধিক ফিফটি
ইংল্যান্ড : জো রুট, ২০ ম্যাচে ৮টি
নিউজিল্যান্ড : রস টেলর, ৩৪ ম্যাচে ১০টি
সেরা জুটি
ইংল্যান্ড : রুট/মরগ্যান (৩য় উই.) ১৯৮
নিউজিল্যান্ড : উইলিয়ামসন/টেলর (৩য় উই.) ২০৬
সর্বাধিক উইকেট
ইংল্যান্ড : জেমস অ্যান্ডারসন, ২৩ ম্যাচে ৩৩টি
নিউজিল্যান্ড : টিম সাউদি, ২১ ম্যাচে ৩৬টি
সেরা বোলিং
ইংল্যান্ড : ভিক মার্কস, ১০-৩-২০-৫
নিউজিল্যান্ড : টিম সাউদি ৯-০-৩৩-৭
সর্বাধিক ক্যাচ
ইংল্যান্ড : বেন স্টোকস, ১২ ম্যাচে ১১টি
নিউজিল্যান্ড : রস টেলর, ৩৪ ,ম্যাচে ১৯টি
সর্বাধিক ডিসমিসাল
ইংল্যান্ড : জস বাটলার, ১৯ ম্যাচে ২৬টি
নিউজিল্যান্ড : বেন্ডন ম্যাককালাম, ৩২ ম্যাচে ২২টি
যেভাবে ফাইনালে
ইংল্যান্ড
গ্রæপ পর্ব
প্রতিপক্ষ ফল
দক্ষিণ আফ্রিকা ১০৪ রানে জয়ী
পাকিস্তান ১৪ রানে হার
বাংলাদেশ ১০৬ রানে জয়ী
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জয়ী
আফগানিস্তান ১৫০ রানে জয়ী
শ্রীলঙ্কা ২০ রানে হার
অস্ট্রেলিয়া ৬৪ রানে হার
ভারত ৩১ রানে জয়ী
নিউজিল্যান্ড ১১৯ রানে জয়ী
সেমিফাইনাল
অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী
নিউজিল্যান্ড
গ্রæপ পর্ব
প্রতিপক্ষ ফল
শ্রীলঙ্কা ১০ উইকেটে জয়ী
বাংলাদেশ ২ উইকেটে জয়ী
আফগানিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী
ভারত পরিত্যক্ত
দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেটে জয়ী
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ রানে জয়ী
পাকিস্তান ৬ উইকেটে হার
অস্ট্রেলিয়া ৮৬ রানে হার
ইংল্যান্ড ১১৯ রানে হার
সেমিফাইনাল
ভারত ১৮ রানে জয়ী
বিশ্বকাপে
ইংল্যান্ড
আসর সাফল্য
১৯৭৫ সেমিফাইনাল
১৯৭৯ রানার্সআপ
১৯৮৩ সেমিফাইনাল
১৯৮৭ রানার্সআপ
১৯৯২ রানার্সআপ
১৯৯৬ কোয়া.ফাইনাল
১৯৯৯ গ্রæপ পর্ব
২০০৩ গ্রæপপর্ব
২০০৭ সুপার এইট
২০১১ কোয়া.ফাইনাল
২০১৫ গ্রæপপর্ব
২০১৯ ?
নিউজিল্যান্ড
আসর সাফল্য
১৯৭৫ সেমিফাইনাল
১৯৭৯ সেমিফাইনাল
১৯৮৩ গ্রæপ পর্ব
১৯৮৭ গ্রæপ পর্ব
১৯৯২ সেমিফাইনাল
১৯৯৬ কোয়ার্টার ফাইনাল
১৯৯৯ সেমিফাইনাল
২০০৩ সুপার সিক্স
২০০৭ সেমিফাইনাল
২০১১ সেমিফাইনাল
২০১৫ রানার্সআপ
২০১৯ ?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।