মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাগাড়ম্বর অব্যাহত রয়েছে। তিনি গত কয়েকদিনের মধ্যে পঞ্চমবারের মতো ইরানকে ‘সাবধান হয়ে চলার’ পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি শুক্রবার নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে দেয়া এক পোস্টে লিখেছেন, “ইরানিরা সাবধান হয়ে চললে ভালো হয়। তারা বিপজ্জনক খেলায় মেতে উঠছে।” ট্রাম্প এর আগে গত ৪, ৫, ৮ ও ৯ জুলাই অন্তত চারবার ইরানকে ‘সাবধান হয়ে চলার’ পরামর্শ দেন। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, ইরানকে ওয়াশিংটনের ইচ্ছেমাফিক চলতে বাধ্য করার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ ধরনের হুমকির ভাষা ব্যবহার করছেন। ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আমির হাতামি তার দেশে আগ্রাসন চালানোর ব্যাপারে শত্রুকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তবে ইরানের রাজনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তারা সা¤প্রতিক সময়ে বারবার ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, ইরানে আগ্রাসন চালালে আগ্রাসী শক্তিকে ‘অনুশোচনা সৃষ্টিকারী’ জবাব দেয়া হবে। তারা আরো বলেছেন, আমেরিকা ইরানে যুদ্ধ শুরু করতে পারে কিন্তু তা শেষ করবে তেহরান। অপরদিকে, মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ- প্রতিনিধি পরিষদ ইরানে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একক ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। প্রস্তাবটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে ইরানে হামলা চালানোর আগে ট্রাম্পকে কংগ্রেসের অনুমতি নিতে হবে। অবশ্য ইরান যদি আগে আমেরিকার কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে তাহলে এই প্রস্তাব কার্যকর হবে না। আমেরিকার প্রচলিত আইন অনুযায়ী দেশটির প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া কোনো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন না। তবে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার অজুহাত দেখিয়ে কোনো দেশের ওপ সীমিত হামলা কিংবা সীমিত আকারে কোথাও সেনা পাঠানোর জন্য কংগ্রেসের অনুমতির প্রয়োজন নেই। ট্রাম্প যাতে ইরানের ওপর সেরকম কোনো হামলাও করতে না পারেন সেজন্য প্রতিনিধি পরিষদে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছে। স¤প্রতি ইরানের আকাশসীমায় একটি মার্কিন ড্রোন অনুপ্রবেশ করার পর সেটিকে গুলি করে ভূপাতিত করে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি। এর একদিন পর ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ইরানের কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। শুক্রবার প্রতিনিধি পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবটি কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে অনুমোদিত না হলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য পার্লামেন্টের উভয়কক্ষের যৌথ অধিবেশন বসবে। এরপর দুই কক্ষে অনুমোদিত হলে প্রস্তাবটিকে চূড়ান্তভাবে আইনে পরিণত হওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে। শুক্রবার ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদের ভোটাভুটিতে প্রস্তাবটির পক্ষে ২৫১ ও বিপক্ষে ১৭০ ভোট পড়ে। প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, কংগ্রেস ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা না করলে কিংবা ইরানে হামলার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন নেয়া না হলে দেশটির ওপর হামলার জন্য প্রেসিডেন্ট কোনো সামরিক বাজেট পাবেন না। শুক্রবারের ভোটাভুটিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোর সমর্থক বলে পরিচিত অনেক রিপাবলিকান প্রতিনিধি প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এদের মধ্যে ফ্লোরিডা থেকে নির্বাচিত সাংসদ ম্যাট গেটস অন্যতম। এর একদিন আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ ইয়েমেনের ওপর সউদী আগ্রাসনে রিয়াদের প্রতি সমর্থন নিষিদ্ধ করে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে। ওই প্রস্তাবটিরও আইনে পরিণত হওয়ার জন্য সিনেটের অনুমোদন লাগবে। রয়টার্স,পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।