মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কিশোরী ইম্যানুয়েলা অর্লান্ডি ৩৬ বছর আগে বাঁশি শেখার ক্লাস শেষে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিলেন। সে সময় তার বয়স ছিল ১৫ বছর। তাকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল রোমের কেন্দ্রস্থলের একটি বাসস্ট্যান্ডে। এরপর যেন হঠাৎ করেই হাওয়ায় মিলিয়ে যান। ছোট একটি নগর সিটি স্টেট ভ্যাটিক্যান। সেখান থেকে কোথায় যেতে পারে ইম্যানুয়েলা? বিষয়টি রহস্য হিসেবেই রয়েছে এত বছর ধরে।
১৯৮৩ সালের ২২ জুনের সে ঘটনার পর থেকে হাসিখুশি ও ঝলমলে ইম্যানুয়েলাকে আর দেখা যায়নি কোথাও। এরপর সম্ভাব্য সব স্থানে তন্নতন্ন করে মেয়েকে খুঁজেছে পুলিশ। খুঁজতে ত্রæটি রাখেনি অর্লান্ডি পরিবার। কিন্তু জীবিত বা মৃত অবস্থায় কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। মেলেনি কোনো দেহাবশেষও।
ইম্যানুয়েলার বাবা ভ্যাটিক্যানের কর্মী। পুলিশের ওপর তার সন্ধান জানার একটা চাপও ছিল। কেউ যদি তাকে তুলে নিয়ে যায় বা অপহরণও করে। কিংবা খুন করে, তা হলেও তো কোনও না কোনও হদিস পাওয়া যাবে! কিন্তু তাও মেলেনি। ইম্যানুয়েলার বিষয়ে নানা গুজব হাওয়ায় ভেসেছে। ইম্যানুয়েলার দাদা পিয়েত্রো অর্লান্ডির এখন ৬০ বছর। তিনি বোনকে খুঁজে পাওয়ার আশা ছাড়েননি। গুজব রটেছিল, কেউ একটা জানে ইম্যানুয়েলার কী হয়েছিল। কিন্তু ভয়ে সে মুখ খুলতে পারছে না। কে সে, কেন ভয়, কার ভয়, কী ঘটেছিল ইম্যানুয়েলার সঙ্গে?
সে গুজবকেই যেন উসকে দিতে স¤প্রতি অর্লান্ডি পরিবারের কাছে একটা উড়ো ছবি আসে। ছবিতে দেখা যায় এক এঞ্জেল ভ্যাটিক্যানের টিউটনিক সমাধিক্ষেত্রের একটি বিশেষ সমাধির দিকে আঙুল তুলে দেখাচ্ছে। বলা হচ্ছে ওই সমাধিতেই রয়েছে কিশোরী ইম্যানুয়েলার দেহ। ভ্যাটিক্যান রেকর্ড ঘেঁটে দেখে ওই সমাধিতে এক প্রিন্সেসকে উনবিংশ শতাব্দীতে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। ভ্যাটিক্যান কর্তৃপক্ষ স্থির করেন, সমাধি খোঁড়া হবে।
ভ্যাটিকানের সেন্ট পিটারস ব্যাসিলিকার কাছের সেই সমাধিক্ষেত্রে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। পুরনো লোহার কারুকার্যমন্ডিত গেটের ভেতরে সার সার পাথরের সমাধি। সেখানে গত বৃহস্পতিবার দেখা গেল পুলিশ ও ফরেনসিক টিমের সদস্যদের। অনেক সাংবাদিক ও পর্যটকরাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ছিলেন ইম্যানুয়েলার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুরা। ‘সত্য আমাদের মুক্ত করে’ আর ‘ওর দেহ কোথায়’ লেখা টি-শার্ট পরেছিলেন তারা।
সবার সামনেই খোঁড়া হয় সেই সমাধি। বিভ্রান্তি এড়াতে ওই সমাধির ঠিক পাশের সমাধিটিও খোঁড়া হয়। এই দুটিতে দুই বোন, দুই প্রিন্সেসকে কবর দেওয়া হয়েছিল ১৮৩৬ ও ১৮৪০ সালে। কিন্তু সমাধি খোলার পর যা দেখা গেল তাতে আরও বিভ্রান্তি ও অস্বস্তিতে পড়ে গেল ভ্যাটিক্যান। দেখা গেল, ইম্যানুয়েলা তো দূর, সেই দুই প্রিন্সেসের দেহাংশও নেই। দুটি সমাধিই খালি। ইতালির অর্লান্ডি পরিবারের শেষ আশা যেন মিলিয়ে গেল।
সমাধিতে কোনোকিছু না পাওয়ায় সমাধান হলো না ৩৬ বছরের পুরনো রহস্যের। বরং উল্টো বাড়ল রহস্য। দুই প্রিন্সেসের দেহই বা গেল কোথায়! পুরনো দুটি সমাধিতে কোনো দেহাবশেষ পাওয়া না গেলেও সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। পরীক্ষার পরই জানা যাবে রহস্য। তবে দেহাবশেষ যেহেতু মেলেনি তাই রহস্য আরো বাড়ল বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সঙ্গে অস্বস্তি বাড়ল ভ্যাটিক্যানেরও। সূত্র : বিবিসি ও দ্য ওয়াল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।