মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের সবচেয়ে প্রভাবশালী ভিক্ষু হচ্ছেন ৮২ বছর বয়স্ক ভক্তিভাজন অশিন নায়ানিসারা। তিনি সবার কাছে সিতাগু সায়াদাও নামে পরিচিত। ১৯৮৮ সালে সিতাগু ছিলেন অন্যতম শীর্ষ ভিক্ষু যিনি দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সমর্থন করেছিলেন। সে সময় লাখ লাখ মানুষ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ জানাতে রাস্তায় নেমেছিল। মিয়ানমারের সামরিক শাসকরা সে সময় শত শত মানুষকে হত্যা করে।
সহিংসতার প্রচন্ডতা সামরিক জান্তাকে কলঙ্কিত করে। বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নেতৃত্বে গণতন্ত্রপন্থী আরেকটি আন্দোলন দমন করা হয় ২০০৭ সালে। তবে এরপর রাজনৈতিক পরিবর্তন আসে। আর সে পরিণতিতে সামরিক জান্তা অং সান সু চির বেসামরিক সরকারের সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে।
১৯৮৮ সালের দমন অভিযানের পর সিতাগু সায়াদাও টেনেসিতে প্রবাস জীবন কাটান। পরে বৌদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও একটি ধর্মীয় বিশ^বিদ্যালয় খোলার জন্য দেশে ফেরেন। ওই সময়কার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও পোপ ফ্রান্সিস তার সাথে সাক্ষাত করেন। সিতাগু আন্তধর্মীয় পরিষদগুলোতে যোগ দেন। তার মিশনারি সোসাইটি টেক্সাস, ফ্লোরিডা ও মিনেসোটায় মেডিটেশন সেন্টার পরিচালনা করে।
কিন্তু যখন লাখ লাখ রোহিঙ্গা তাদের পুড়িয়ে দেয়া গ্রামগুলো থেকে পালিয়ে যাচ্ছিল সে সময় এক অনুষ্ঠানে সেনা অফিসার শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে সিতাগু সায়াদাও বলেন, মুসলমানরা জাতিসংঘকে প্রায় কিনে নিয়েছে। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এক। মে মাসে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট ফেসবুক পেজে সিতাগু সায়াদাওকে সৈন্যদের মাঝে হাসিমুখে দেখা যায়। তিনি তার ধর্মের শ্রেষ্ঠতম আখ্যা তাদের প্রদান করেন- জাতীয় স্বার্থে নিবেদিত ধর্মীয় সৈনিকদের সেনাবাহিনী। তিনি মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনী প্রধানকে বলেন, মিয়ানমারে চার লাখেরও বেশি ভিক্ষু রয়েছে। আপনার যদি প্রয়োজন হয় আমি তাদের শুরু করতে বলব। এটা সহজ।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ত¡বিদ খিন মার মার কি বলেন, যখন সিতাগু সায়াদাওর মত কোনো সম্মানিত লোক কোনো কথা বলেন, যদি তা মহল বিশেষের কাছে একেবারেই অগ্রহণযোগ্যও হয়, তাহলেও মানুষ তা শোনে। তার বক্তৃতায় বিদ্বেষকে যৌক্তিকতা প্রদান করা হয়। কিছু ভিক্ষু আছেন, যদিও তাদের সংখ্যা খুব সীমিত, তারা এই ধর্মবিদ্বেষী বক্তৃতার বিরোধিতা করছেন।
ইয়াঙ্গুনে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে শান্তিবাদীরা আন্তঃধর্ম সম্প্রীতির উন্নয়নে মুসলমানদের হাতে সাদা গোলাপ তুলে দেন। এশিয়া আলো বৌদ্ধমঠের মঠাধ্যক্ষ অশিন সেইন দাই তা বলেন, উগ্রপন্থীরা মিয়ানমারের বৌদ্ধদের একটি ক্ষুদ্র অংশ। কিন্তু গলাবাজিতে তারা এগিয়ে। তিনি বলেন, আমাদের সুস্পষ্টভাবে বলা উচিত যে যদি কোনো ভিক্ষু হত্যা করার কথা বলেন, এমনকি তিনি যদি সিতাগৃ সায়াদাওর মত ব্যক্তিও হন, তার ধর্মীয় মর্যাদা বাতিল করা উচিত। কিন্তু যে দেশে প্রবীণ ভিক্ষুরা এত সম্মানিত, সেখানে তাদের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা কঠিন।
বিশ^ব্যাপী মুসলিম বিরোধী মনোভাব মুসলমানদের সম্পর্কে ভুল ধারণাকে জোরদার করেছে। অন্যদিকে সামাজিক মাধ্যম ক্ষতিকর ভূমিকা পালন করছে। জান্তার ক্ষমতার চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে মিয়ানমারে অনুমোদনহীন ফাক্স মেশিন বেআইনি ছিল। আর সংবাদ মাধ্যম ছিল সেন্সর ব্যবস্থার আওতায়। আজকের দিনে বেশিরভাগ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। ফলে আসল ঘটনা গোপন করা সহজ নয়। (চলবে)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।