মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিরা শুক্রবার আলোচনায় বসবেন। তবে স¤প্রতি দুই দেশের সরকার পরস্পরের বিরুদ্ধে যে সব সংরক্ষণবাদী পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেগুলোর ব্যপার ছাড় দেয়ার কোন লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতকে চাপ দিচ্ছেন যাতে বাজার উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য আরও ব্যবস্থা নেয়া হয়। চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প টুইটারে আবারও বলেছেন যে, ভারতের উচ্চ মাত্রার শুল্ক ‘গ্রহণযোগ্য’ নয়।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (এইউএসটিআর) ক্রিস্টোফার উইলসনের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল ভারতের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় বসবেন। পাল্টাপাল্টি আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে তারা আলোচনা করবেন।
ইউএসটিআরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “ভারতের নির্বাচনের সময় যেহেতু চলে গেছে, ইউএসটিআরের কর্মকর্তারা তাই ভারত সরকারের সাথে সম্পর্ক বিনির্মাণের জন্য ভারত সফর করছে”।
ইউএসটিআরের প্রতিনিধি দল গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রী পিযুষ গয়ালের সাথে আজ বৈঠক করবেন। প্রতিনিধি দলে আইটি মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথেও বৈঠক করবেন।
গেলো জুনে জাপানের ওসাকাতে জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেছেন ট্রাম্প ও মোদি। সেখানে তারা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক গঠন এবং বিবদমান বাণিজ্য ইস্যুগুলো সমাধানের ব্যাপারে একমত হন। ভারতের সরকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারত বিদেশী ফার্মগুলোকে তাদের ডাটা ভারতে জমা রাখার যে বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে, সেটি প্রত্যাহারের জন্য মার্কিন কর্মকর্তারা চাপ দিতে পারে বলে মনে করছে নয়াদিল্লী।
এছাড়া, ই-কমার্স খাতে বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভারত যে নিয়ম চালু করেছে, যার কারণে ওয়ালমার্টের ফ্লিপকার্ট ও অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভারতের তাদের ব্যবসায়ের কৌশল পরিবর্তন করেছে, সেগুলো পুনর্বিবেচনার জন্যও ভারতকে বোঝানোর চেষ্টা করবে ওয়াশিংটন।
আরেক কর্মকর্তা বলেন, “ইতিবাচক জি২০ আলোচনার পর আরও আলোচনার সুযোগ তৈরির জন্য ইউএসটিআরের সাথে আলোচনায় একটা পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করা হবে। কিন্তু ট্রাম্পের টুইটের মধ্য দিয়ে বোঝা গেছে যে, নিজেদের কঠোর অবস্থান খুব একটা বদলাবে না যুক্তরাষ্ট্র”।
এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোন জবাব দেয়নি।
ভারতীয় নীতি নির্ধারকদের মধ্যে একটা উদ্বেগ রয়েছে যে, ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের সাথে একটা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য চাপ দিতে পারে, যেটা ভারতের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানের ক্ষতি করবে, প্রচুর আমদানি করতে হবে ভারতকে এবং যেটা মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ পরিকল্পনাকে বাধাগ্রস্ত করবে। ২০১৮ সালে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৪২.১ বিলিয়ন ডলার, যেখানে ভারতের উদ্বৃত্ত ছিল ২৪.২ বিলিয়ন ডলার। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।