মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শত্রু দেশের আকাশসীমায় ঢুকে যাবে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন। এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে উড়ে পৌঁছে যাবে কাঙ্ক্ষিত স্থানে। সেখানে গিয়েই ড্রোনগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে লক্ষ্যবস্তু খুঁজে নেবে। তারপর শুরু হবে আত্মঘাতী হামলা। এ ক্ষেত্রে শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও এড়াতে পারবে এসব ড্রোন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের বালাকোটে চালানো হামলার মডেল অনুসরণ করতে চাইছে ভারত। আর এমন হামলা সফল করতেই এ ধরনের ড্রোন নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। এই প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে হিন্দুস্তান অ্যারোনেটিকস লিমিটেড এবং নিউস্পেস রিসার্চ অ্যান্ড টেকনোলজিস। বলা হচ্ছে, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ভারতীয় সামরিক বাহিনীতে এ ধরনের ড্রোন যুক্ত হবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে প্রাথমিকভাবে প্রথম ভারতীয় সোয়ার্ম ড্রোনের প্রোটোটাইপ আকাশে ওড়ানোর পরিকল্পনা আছে। এই ড্রোনগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে আলফা-এস।
এই প্রকল্পের ব্যবস্থাপক নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, আকাশযুদ্ধে ভারতের ভবিষ্যৎ অস্ত্র হতে চলেছে আলফা-এস। এতে উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার বিভিন্ন সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বিপজ্জনক অভিযানে এসব ড্রোন ব্যবহার করা হবে। ফলে আর পাইলটদের ঝুঁকির মুখে পাঠাতে হবে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলফা-এস ড্রোনে দুটি ভাঁজযোগ্য ডানা থাকবে। এই ডানাগুলো হবে ১ থেকে ২ মিটার লম্বা। এগুলো ভারতীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলোতেই বহন করা যাবে। নিরাপদ স্থান থেকে এগুলো আকাশে ছেড়ে দিলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছে যাবে। ব্যাটারিচালিত এই ড্রোনগুলো ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারবে। এই ব্যাটারিগুলো চালু থাকতে পারবে কয়েক ঘণ্টা। এর মধ্যেই লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করে সেখানে আত্মঘাতী হামলা চালাবে আলফা-এস ড্রোন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়াসহ বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশ এই প্রযুক্তির ড্রোন তৈরিতে কাজ করছে। ভারতও সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছে। তবে এই বিশেষ প্রযুক্তির ড্রোনগুলো তৈরির প্রক্রিয়া নিয়ে নির্মাতা দেশগুলোর মধ্যে ব্যাপক প্রতিযোগিতা রয়েছে। তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যাবলি জানা যায় না।
পাকিস্তান সম্প্রতি ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ‘এইচকিউ-নাইন’ কিনছে। চীনের কাছ থেকে উন্নত এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সংগ্রহ করছে পাকিস্তান। এটি ঠেকাতেই এবার বিশেষ প্রযুক্তির ড্রোন নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে ভারত। দেশটির সামরিক বাহিনী মনে করেছে, এসব ড্রোন দিয়ে বালাকোটের মতো হামলা আরও সফলভাবে চালানো যাবে। আর নিজেদের দেশেই এ নিয়ে কাজ শুরু হওয়ায়, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে অকুণ্ঠ সমর্থন দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার।
আলফা-এস ড্রোন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক বলছেন, ভবিষ্যতে সব ধরনের যুদ্ধেই ড্রোন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়েই এমন প্রযুক্তির উন্নতিতে কাজ করছে ভারত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।