Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রিকশা-অটো চলছেই

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

মুন্সী কামাল আতাতুর্ক মিসেল | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ব্যস্ততম সড়কের মধ্যেও নিয়ম মানানো যায়নি রিকশা ও অটোরিকশা চালকদের। যান্ত্রিক গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করা সম্ভব হলেও রিকশার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই ট্রাফিক পুলিশের কাছে। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রিকশা যেভাবে খুশি চলছে।

ঢাকার বিভিন্ন সড়কে নিষিদ্ধ হওয়া রিকশাগুলো এখন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ব্যস্ত সড়কে। অথচ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোনো কোনো বাসস্ট্যান্ডে এসব রিকশাগুলোই বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় ট্রাফিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে। এর পড়েও তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সরব। কখনো কখনো পুরো মহাসড়কটাকে মনে হয় যেন রিকশা ও অটোরিকশার দখলে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী সব যানবাহন ও চালকের জন্য আইন থাকলেও রিকশা বা অটোরিক্সার ব্যাপারে কোনো আইন নেই। ফলে তারা ফ্রি স্টাইলে চলছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডগুলোতে যে যানজট তার মূলে রয়েছে রিকশা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংযোগ সড়ক সবই এখন রিকশার দখলে। ১২-১৪ বছরের শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত এসব রিকশারচালক।

রিকশার গ্যারেজ মালিক ও রিকশাচালকদের তথ্য অনুযায়ী ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় এখন ১৫-২০ হাজারের ওপর রিকশা চলছে। তবে এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে কোনো তথ্য নেই। মহাসড়কের স্ট্যান্ড বা কোনো সংযোগ সড়কে ১০ মিনিট দাঁড়ালেই বোঝা যাবে কত সংখ্যক রিকশা মহাসড়কে চলছে। ব্যাটারিচালিত রিকশার দাম কম ও ভাড়া বেশি হওয়ায় এটি নতুন ব্যবসা হিসেবে নিয়েছেন কেউ কেউ। ফলে প্রতিদিন বাড়ছে মহাসড়কে এর সংখ্যা। এতে করে সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে দেশের মূল্যবান বিদ্যুৎ। কুমিল্লায় বৃদ্ধি পেয়েছে ব্যাটারী চালিত রিকশা। পুলিশের পাহারার ফাঁক দিয়ে অনেক সময় রিক্সাগুলো মালামাল নিয়ে চলাচল করছে মহাসড়কে। অন্যান্য সড়কগুলোতে তো আছেই। মহাসড়কের কুমিল্লার বাসস্ট্যান্ডের উপরেই বীরদর্পে লাইন ধরে পার্কিংয়ে অবস্থান করছে রিকশাগুলো।

এছাড়া কুমিল্লার নাজিরাবাজার, কোরপাই, চান্দিনা, নূরীতলা, মাধাইয়া, ইলিয়টগঞ্জ, দৌলতপুর, রায়পুর, গৌরীপুর, শহীদনগর, দাউদকান্দি বিশ^রোড মহাসড়কে চলছে তিন চাকার গাড়ি। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অত্যন্ত বেপরোয়া চলাচল করায় প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা ঘটছে। এসব গাড়ির বিআরটিএ থেকে নেই কোন অনুমোদন। অভিযোগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের মাসিক মাসোহারা দিয়ে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই অবৈধ যানবাহনগুলো।

প্রতিদিন নতুন করে রিকশা নামছে ব্যস্ত সড়কে। চালকেরও কোন লাইসেন্স বা প্রশিক্ষণ নেই। শুধু প্যাডেল ঘোরাতে পারলেই চলে। অভিযোগ রয়েছে এই রিকশা এখন একটি সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের কোটি কোটি টাকার উপার্জনের পথ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত পাঁচ বছরে অন্তত কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছে রিকশার ভুয়া নম্বর প্লেট বিক্রি করে। এই বিষয়ে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, আমরা বিভিন্ন সময় রিকশা বা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা পেলে চাকা খুলে ফেলি, পাম্প ছেড়ে দিই।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিকশা

১৩ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ