পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সম্প্রসারিত হচ্ছে মন্ত্রিসভা। আগামীকাল শনিবার শপথ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। গতকাল সচিবালয়ে ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৯’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারিত হচ্ছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রস্তুতি রয়েছে কি না -জানতে চাইলে শফিউল আলম বলেন, আমরা প্রস্তুত। আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে।
তবে কতজন শপথ নেবেন সে বিষয়ে কিছু জানাননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব। জানা গেছে, সরকারের মেয়াদের সাত মাসের মাথায় মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ইমরান আহমদকে পূর্ণমন্ত্রী করা হচ্ছে। ইমরান আহমদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন।
আর নতুন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। তাকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। কারণ এ মন্ত্রণালয়ে কোনো মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী নেই। এদিকে সচিবালয় ও আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে গুঞ্জন রয়েছে আরো কয়েকজনকে মন্ত্রিসভায় যুক্ত করা হতে পারে। কয়েকজন সিনিয়র নেতার নামও শোনা যাচ্ছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সরকার গঠনের ছয় মাসের মাথায় সম্প্রসারিত হচ্ছে মন্ত্রিসভা। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ৭ জানুয়ারি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ৪৬ সদস্যের ওই মন্ত্রিসভায় ২৪ মন্ত্রী, ১৯ প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে ছয় মন্ত্রণালয় রাখা হয়।
পরে গত ১৯ মে মন্ত্রিসভা পুনর্বিন্যাস করা হয়। তখন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এছাড়া ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারকে একই মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী করা হয়। এ মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে।
একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী করা হয় তাজুল ইসলামকে। তাকে আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও স্বপন ভট্টচার্যকে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। একই মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন স্বপন ভট্টাচার্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।