বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর হত্যা নির্যাতন বন্ধে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ভারত বিভিন্ন বিনা কারণে মুসলমানদের ওপর জুলুম নির্যাতন করে নিজেদের বিশ্বে জঙ্গি ও উগ্র সম্প্রদায় হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। ভারত মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করতে চাইলে তারা নিজেরাই নিশ্চহ্ন হয়ে যাবে। ভারতে মুসলিম নির্যাতন বন্ধে বাংলাদেশ সরকারকে কূটনৈতিক চাপ বাড়াতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলমানদের হত্যা, নির্যাতন ও হয়রানি বন্ধে করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে জাতীয় নেতৃবৃন্দ একথা বলেন। দলের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাইর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মাইমুল আহসান খান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মুসলিম লীগের স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম, জাতীয় সমজাতান্ত্রিক দল জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য থাকলে কুফুরি শক্তিগুলো এক মুহুর্তও টিকতে পারবে না। সউদী আরবসহ অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর খামখেয়ালির কারণে ইয়াহুদি ও হিন্দুত্ববাদী উগ্র-শক্তিগুলো মুসলমানদের তিলে তিলে হত্যা করছে। তিনি বলেন, ভারতবর্ষ মুসলমানদের দেশ। মুসলমানরা এ ভারতবর্ষ ৭০০ বছর শাসন করেছে। কাজেই মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করতে চাইলে ভারতই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তিনি ভারতের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে সরকারকে কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।
মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, মুসলমানদের চেতনায় ধস নামার কারণে ভারত সুযোগ নিয়ে মুসলিম হত্যাকান্ড চালাচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত বিনা কারণে মুসলমানদের ওপর জুলুম নির্যাতন করে নিজেদের বিশ্বে জঙ্গি ও উগ্র সম্প্রদায় হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। ভারতের উপর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ না করলে ভারত সোজা হবে না। এজন্য সবধরণের ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে হবে।সাবেক এমপি গোলাম মাওলানা রনি বলেন, নতজানু ও ভারতপ্রীতির কারণে ভারতে মুসলিম হত্যা-নির্যাতনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ কোন প্রতিবাদ করতে পারছে না। শেখ মুজিব ভারতের বিরোধীতা সত্তে¡ও ওআইসি সম্মেলন অংশ নিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবের আদর্শের ওপর নেই।
নেজামে ইসলাম পার্টি
এদিকে, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান, মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, যুগ্ম-মহাসচিব মালানা মুসা বিন ইজহার এক যুক্ত বিবৃতিতে ভারতে মুসলিমদের ওপর চলমান জুলুম-নির্যাতন বন্ধের দাবী জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, হিন্দুত্ববাদী ভারতে মুসলিমদের ওপর যে ধরণের নির্যাতন চলছে, তা অবর্ণনীয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভারতের মুসলিম নেতারা পর্যন্ত বলতে বাধ্য হচ্ছেন যে, ১৯৪৭ সালের দেশ ভাগের সময়ের চেয়ে খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে দেশটিতে। এতেই বুঝা যায় ভারতের মুসলিমরা কি ধরণের নির্যাতনের মধ্য দিয়ে দিন পার করছে। ভারতের হিন্দুত্ববাদের উত্থানের বিষয়ে নেজামে ইসলাম পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেন, হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রে হিন্দুত্ববাদের উত্থান অস্বাভাবিক নয়। এই জন্যই ১৯৪৭ সালে নেজামে ইসলামের মূল সংগঠন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আলেম-উলামারা মুসলমানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।