রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কেন্দ্র মুখ থুবড়ে পড়েছে
জি এম মুজিবুর রহমান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে
আশাশুনি উপজেলার প্রাচীনতম মোকাম বড়দল বাজারে স্থাপিত মহিলা বিপণী কেন্দ্রটি চালু হওয়ার আগেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে সরকারের প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হওয়ায় প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। জিওবি এবং জাইকার অর্থায়নে এলজিইডি’র বাস্তবায়নে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১২-১৩ অর্থ বছরে বড়দল বাজারে মহিলা বিপণী কেন্দ্র নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ঘর নির্মাণ করা হয়। ১৬ লক্ষ ১৫ হাজার ৭৯০ টাকা ব্যয়ে ৫টি দোকান ঘর ও একটি বার্থ রুম বিশিষ্ট একতলা বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়। সেখানে মহিলাদের উন্নয়নের জন্য মহিলা দ্বারা পরিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিপণী কেন্দ্র পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়। ৫-৯-১২ তারিখে নির্মাণ কাজ শেষ হলে ১-১২-১২ তারিখে ৫ জন মহিলাকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়। তারা হলেন বড়দল গ্রামের সৈয়দ মুন্সীর স্ত্রী সালেহা বেগম, আজিজুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস আক্তার, বুড়িয়া গ্রামের ভগিরথ রায়েন স্ত্রী অমিতা রায়, কৃষ্ণপদ বাচার স্ত্রী স্বর্ণলতা ও সন্তোষ সরকারের স্ত্রী স্বপ্না সরকার। বরাদ্দ পাওয়ার পর তারা ব্যবসা চালু করেনি। ব্যবসা করার মত পুঁজি তাদের নেই এমন অজুহাত দেখিয়ে ব্যবসা চালু করেনি। দীর্ঘ ৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও তারা একদিনের জন্য দোকান খোলেনি। প্রতিমাসে ঘর ভাড়া নির্ধারণ করা হয় খুবই নগন্য, মাত্র ১০০ টাকা করে। কিন্তু তারা এক মাসেরও ঘরভাড়া পরিশোধ করেনি। ফলে সরকারের লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মীত প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। এ ব্যাপারে নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম মোল্যা জানান, যাদেরকে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল, তারা ব্যবসা করার মত ছিল না। যদি প্রকৃত ব্যবসায়ী মনোভাব আছে এমন মহিলাদেরকে ঘর পুনরায় বরাদ্দ দেয়া হয় তবে, বিপণী কেন্দ্রটি ভালভাবে চালান সম্ভব হবে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার শামীম মুরাদ জানান, দীর্ঘদিনের বরাদ্দপ্রাপ্তরা ঘর চালায়নি, বরাদ্দ বাতিল করেনি আবার ঘরভাড়াও পরিশোধ করেনি। এ ব্যাপারে চুক্তি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং নতুনদের মাঝে ঘর বরাদ্দ প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।