রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে
বগুড়ার শেরপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে শিক্ষাগত যোগ্যতার নকল সনদপত্র জমা দিয়ে দলিল লেখার লাইসেন্স পাওয়া ৮ জনের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে। তদন্ত হচ্ছে আর শতাধিক ব্যক্তির সনদ পত্রের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহল। জানা গেছে, বগুড়ার শেরপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখকের লাইসেন্স তথা মহরার হওয়ার জন্য ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ধরা হয় এসএসসি পাস। অথচ একটি চক্র সেই এসএসসি পাসের জাল সনদ নিয়ে তদবির করে প্রতিদিন নিয়ে আসছে দলিল লেখার লাইসেন্স। এদিকে, জাল সনদের ছড়াছড়ির ঘটনা প্রকাশ হওয়ায় টনক নড়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। ফলে তদন্ত করে ৮ জনের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। শেরপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের রেজিস্টার মো.মফিজুল ইসলাম জানায়, প্রতি সপ্তাহে ২/১ জন করে শেরপুর রেজিস্ট্রি অফিসে এই দলিল লেখার লাইসেন্স নিয়ে জমা দিচ্ছে অফিসে। এ পর্যন্ত প্রায় পৌনে ৩শ’ লাইসেন্সধারী মহররা আছে শেরপুরে। এর ফলে লাইসেন্সধারী অনেক মহরারের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে দেখা দিয়েছে সন্দেহ। যার ফলে রেজিস্ট্রি অফিসের মহরারদের কাছে এসএসসি অথবা এর সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদপত্র দেখাতে বলা হলে তারা তখন অপারগতা প্রকাশ করে। বগুড়া জেলা রেজিস্টার অফিস থেকে এ বিষয়ে তদন্ত করে শেরপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ৮ জনের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়েছে তারা হলো-কুসুন্বি ইউনিয়নের মোহরার দারুগ্রামের আব্দুল হামিদ লাইসেন্স নং-২০৯, গোপালপুরের মোহরার ময়েজ উদ্দিনের পুত্র সফিকুল ইসলাম লাইসেন্স নং-২৩৭, গাড়িদহ ইউনিয়নের রণবীরবালা গ্রামের মৃত. শের মোহাম্মদের পুত্র সাইফুল ইসলাম লাইসেন্স নং-২৫৪, শেরপুর শহরের খন্দকার পাড়ার আবুল কাশেমের পুত্র মেহেদি হাসান বাবলু লাইসেন্স নং-২৬২, দক্ষিণ সাহা পাড়ার সুভেন্দ্র নারায়ণ-এর পুত্র সমীরণ নারায়ণ কু-ু লাইসেন্স নং-২৬৪, শাহবন্দেগী ইউনিয়নের কানাই কান্দর গ্রামের সুলতানের পুত্র সুমন সরকার লাইসেন্স নং- ২৬০, সুঘাট ইউনিয়নের হলদিবাড়ী গ্রামের জয়নালের পুত্র লিটন আহম্মেদ লাইসেন্স নং-২৭১ এবং একই ইউনিয়নের সাতারা আলাদী গ্রামের ছাদেক আলীর ছেলে জুয়েল রানা লাইসেন্স নং-২৬৫। বগুড়া জেলা রেজিস্টারের এক পত্রের মাধ্যমে উল্লিখিত লাইসেন্সগুলি বাতিল করে তাদের পত্র মারফত জানান হয়েছে। এদিকে, আরও শতাধিক লাইসেন্সধারীর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র যাচাই-বাছাই চলছে বলে জানা গেছে। এদিকে, ঘটনা ধামাচাপা দিতে তদন্ত কাজে জড়িদের কাছে উচ্চমহলের সুপারিশ আর তদবির আসতে শুরু হয়েছে। ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সুষ্ঠু তদন্ত কাজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।