পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এসকে সিনহা) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার সংস্থার পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করেন। এজাহারে এসকে সিনহাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় দন্ডবিধির ৪০৯, ৪২০,১০৯, ১৯৪৭ সনের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২), (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, ফার্মাস ব্যাংকের তৎকালিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীম, একই ব্যাংকের তৎকালিন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, শাফিউদ্দিন আসকারী, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান, ব্যবসায়ী নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, শ্রীমতি সান্ত্রী রায় (সিমি) এবং শ্রী রঞ্জিত চন্দ্র সাহা। তাদের বিরুদ্ধে পরষ্পর যোগসাজশে তৎকালিন ফার্মার্স ব্যাংকের ( বর্তমান পদ্মা ব্যাংক) গুলশান শাখা থেকে অস্বাভাবিক দ্রুততার সাথে ৪ কোটি টাকা ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করে এ টাকা একই দিন পে-অর্ডারের মাধ্যমে এসকে সিনহার ব্যাক্তিগত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্থানান্তরিত অর্থ এসকে সিনহা (১ নং আসামি) তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে পে-অর্ডারের মাধ্যমে অন্য অ্যাকান্টে স্থানান্তর, হস্তান্তর এবং রূপান্তরের মাধ্যমে অর্থ আতœসাৎ করত: পাচারের প্রচেষ্টায় সংঘবদ্ধভাবে অপরাধ করেছেন-মর্মে উল্লেখ করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, এক নম্বর আসামি সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নিজে লাভবান হওয়ার অসদুদ্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। প্রভাব বিস্তার করে অপরাপর আসামিদের সহায়তায় ফার্মার্স ব্যাংক লি: হতে অবৈধভাবে ৮ ও ৯ নং আসামির নামে ভুয়া ঋণ সৃষ্টি করেন। পরে নিজ নামীয় ব্যাংক হিসেবে অপরাধলব্ধ অর্থ উত্তোলন, স্থানান্তর, রূপান্তর ও নিজ আত্মীয়ের নামীয় হিসেবে স্থানান্তর করেন। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন,২০১২ র সংশ্লিষ্ট ধারা ও দন্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব ঘটনা সংঘটিত হয়-মর্মে উল্লেখ করা হয় এজাহারে।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে পড়েন তৎকালিন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা। নানা ঘটনার জন্ম দিয়ে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান সিনহা। পরে সিঙ্গাপুর থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন-মর্মে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এর এক বছরের মাথায় তিনি বিদেশে বসে ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ শিরোনামে আত্মজীবনীমূলক বই প্রকাশ করেন যা নিয়ে পরে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা হয়। ওই বইতে সিনহা দাবি করেন, তাকে পদত্যাগে বাধ্য করে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। বই প্রকাশের মাঝেই যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে তার ছোট ভাই অনন্ত কুমার সিনহার নামে এসকে সিনহা বাড়ি কিনেছেন-মর্মে সংবাদ মাধ্যমে খবর আসে। বাড়ি কেনার ওই খবরের সূত্র ধরে দুদক অনন্ত সিনহার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে। এছাড়া এসকে সিনহার সোনালি ব্যাংক সুপ্রিমকোর্ট শাখায় লেনদেন হওয়া ৪ কোটি টাকার উৎস অনুসন্ধান শুরু করে। এর বাইরে সাবেক এই প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে ন্যাশনালিস্ট অ্যালায়েন্সের (বিএনএ)র সভাপতি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা একটি মামলা করেন। গতবছর ২৭ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় মামলা করেন তিনি। এতে এসকে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা নিষ্পত্তি করে দেয়ার বিনিময়ে নগদ ১ কোটি টাকা এবং আরেকটি চেকে ২৫ লাখ টাকার উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ তোলা হয়। এ মামলাটিও দুদক তদন্ত করছে।
উল্লেখ্য, সাবেক কোনো প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এটিই দুদকের প্রথম অনুসন্ধান, তদন্ত এবং মামলা বলে জানিয়েছে দুদকের একটি সূত্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।