পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এশিয়ার পরাশক্তি চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে লাভবান হচ্ছে বাংলাদেশি পোশাক খাত। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম ‘ব্লুমবার্গ’ এর বরাতে বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের চীনের পোশাক তৈরি কোম্পানিগুলোকে দেওয়া অর্ডার বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। যে কারণে বাংলাদেশের কাছে সেই পোশাক তৈরির অর্ডারগুলো চলে আসছে। ফলে দেশটির অনেক প্রতিষ্ঠানই প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানির সুযোগ পেয়েছে।
এতে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে ‘ব্লুমবার্গ’ তাদের প্রতিবেদনটিতে জানিয়েছে। যেখানে বলা হয়, ৩০ বছর যাবত বাংলাদেশে পোশাক উৎপাদন করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে ‘নিউএজ গ্রুপ’।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনই তারা মার্কিন কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজ না পেলেও এবার সেই সুযোগ এসেছে। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের পর এই প্রথম তারা দেশটির কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজের অর্ডার পেয়েছে।
নিউএজ গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট আসিফ ইব্রাহীম জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পোশাক রপ্তানি করে আসছেন। তবে এবারই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর্ডার পাওয়া গেছে। আশা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে বছরে প্রায় আড়াই কোটি ডলারের বেশি মূল্যের পোশাক দেশটিতে রপ্তানি করা যাবে।
গণমাধ্যমটির দাবি, সম্প্রতি প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার মূল্য মানের চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করেছে মার্কিন ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে চীনে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্ডার প্রায় অর্ধেকের নিচে নেমে গেছে। যে কারণে অর্ডারগুলো এখন প্রতিবেশী বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের কাছে চলে গেছে। ‘নিউএজ গ্রুপে’র ভাইস প্রেসিডেন্ট বলছেন, ‘চীনে বাতিল হওয়া অর্ডারগুলোর প্রায় ৩০ শতাংশই এসেছে বাংলাদেশে। শুধু তাই নয়, এর ফলে চীনের অনেক প্রতিষ্ঠানই এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগও করতে আগ্রহ প্রকাশ করছে।’
ব্লুমবার্গের তথ্য মতে, আগামী ২০২৪ সাল নাগাদ বাংলাদেশ তাদের পোশাক রপ্তানি বাবদ প্রায় ৭২০ কোটি ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে। এ দিকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে, যার অর্থ হচ্ছে এবার চীনের প্রায় ৪১০ কোটি ডলার মূল্যের অর্ডার বাংলাদেশে ঢুকবে। ফলে খুব শিগগিরই দেশটির তৈরি পোশাক খাতে আরও ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটবে। এমনকি যার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার ও ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে বলেও জানিয়েছে এই গণমাধ্যমটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।