পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলায় তার সমিতিগুলোর মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার গ্রামকে আলোকিত করে ১৮ লাখ গ্রামবাসীর কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় ইতোমধ্যে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। এখন আর সন্ধ্যা হলে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পল্লী এলাকার মানুষ ঘুমিয়ে পড়েনা। প্রায় ৩৫ হাজার কিলোমিটার লো-টেনশন ও হাই-টেনশন লাইনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়ায় শিক্ষা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডেও ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি গ্রামে। কৃষি ক্ষেত্রেও পল্লী বিদ্যুৎ সহায়ক ইন্ধন শক্তি হিসেবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের ৪২টি উপজেলার ২০টিতে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পন্ন করেছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড।
বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এবং ২ ছাড়াও পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো স্ব-স্ব এলাকার গ্রামেগঞ্জে বিদ্যুতের আলো ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে ইতোমধ্যে তাদের অপরিহার্যতা প্রমাণ করেছে। তবে পিডিবির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে সব ধরনের পরিচালন ব্যায়সহ গ্রাহকের কাছে বিক্রি করতে গিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিই এখনো লোকসানের কবলে। এর প্রধান কারণ এ অঞ্চলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর মোট গ্রাহকের ৮০% এরও বেশি আবাসিক গ্রাহক। যাদের কাছে স্বল্প মূল্যে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে গিয়ে সমিতিগুলো লাভের মুখ দেখছে না।
দক্ষিণাঞ্চলে সর্বপ্রথম ১৯৮২ সালে পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তার বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ও ২ পটুয়াখালী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, ভোলা ও ঝালকাঠি জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর কার্যক্রম শুরু হয়। বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলায় প্রায় ৩৫ হাজার কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইনে প্রায় ৩০ হাজার ট্রান্সফর্মারের সাহায্যে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ হাজার গ্রামের ১৮ লাখ গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ সরবারহ করছে সংশ্লিষ্ট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো। এছাড়াও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো এ অঞ্চলের কয়েকটি জেলার প্রায় ৩ হাজার গ্রাহকের ঘর আলোকিত করেছে সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে।
তবে গ্রামের লাখ লাখ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিলেও দক্ষিণাঞ্চলে এখন সিস্টেম লসের পরিমাণ গড়ে মাত্র ১৪%-এর মত। যা সাব-স্টেশন পর্যায়ে ৩% এরও কম। উপরন্তু বিল আদায়ের হারও প্রায় শতভাগের কাছাকাছি। এরপরেও নানা প্রতিক‚লতা অতিক্রম করে বরিশালের সদর, গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালীর দুমকী, বরগুনার বামনা, ভোলার সদর, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, পিরোজপুরের সদর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, ইন্দুরকানী এবং ঝালকাঠি জেলার সদর, রাজাপুর ও নলছিটি উপজেলার শতভাগ গ্রামকে বিদ্যুতায়িত করতে সক্ষম হয়েছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড।
শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলার গ্রামে গ্রামে গিয়ে সংশ্লিষ্ট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা মানুষকে তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করছে। মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে সমিতির সদস্যভ‚ক্ত হয়ে ১শ’ টাকা আবেদন ফি’র মাধ্যমে একজন আবাসিক গ্রাহক অতি দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ লাভ করছেন।
তবে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে সেচকাজে বিদ্যুতের ব্যবহার এখনো তেমন আশাব্যাঞ্জক পর্যায়ে বাড়েনি। এ অঞ্চলের ৬টি জেলায় এখন পর্যন্ত মাত্র পৌনে দুশ’ সেচযন্ত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।