Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়ায় নার্সিংয়ে ভর্তির গ্যারান্টি দেন ওরা তিনজন! রমরমা অবৈধ কোচিং ব্যবসা

বগুড়া ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম


বগুড়ায় চিকিৎসা সম্পর্কিত দু’টি প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোচিং ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে। সরকার কোচিং ব্যবসা বন্ধ করলেও বগুড়ায় ওই দু’টি প্রতিষ্ঠানে এটি ওপেন সিক্রেট। এই তিন কর্মকর্তা হলেন বগুড়া নার্সিং কলেজের প্রভাষক মো. মনজুর হোসেন, মো. আনিছার রহমান ও নন্দীগ্রাম উপজেলার বিজরুল হেলথ কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স সুলতান মাহমুদ।

তাদের বিরুদ্ধে সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করে নার্সিং ভর্তি কোচিং ব্যবসা চালানো এবং চাকরিজীবী সিনিয়র স্টাফ নার্সদের বিএসসি নার্সিংয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কোচিং সেন্টার বন্ধের উপর নিষেধজ্ঞা জারি এবং মহাপরিচালক নার্সিং ও মিডওয়াইফারী অধিদপ্তর থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধ। বেসরকারি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেওয়া বা শিক্ষকতা করা নিষিদ্ধ। তারপরও নিষেধজ্ঞা উপেক্ষা করে নার্সিং ভর্তি কোচিং ব্যবসা চলছে।

এ ব্যাপারে মহাপরিচালক নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়েছে বগুড়ার ঠনঠনিয়া সরদারপাড়ার আব্দুল হালিম নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই তিন কর্মকর্তা বগুড়া শহরের কলোনি এলাকায় ‘নাইটিঙ্গেল নার্সিং টিচিং হোম’ নামে নার্সিং ভর্তি কোচিং ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সেই সাথে চাকরিজীবী সিনিয়র স্টাফ নার্সদের বিএসসি নার্সিংয়ে ভর্তির সুযোগ করে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন।

বগুড়া নার্সিং কলেজের সূত্র জানায়, চাকরিরত অবস্থায় সরকারের অনুমতি ছাড়া নার্সিং কোচিং ব্যবসা পরিচালনা করা সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এবং সরকারি শৃঙ্খলা বিধির পরিপন্থি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সিনিয়র স্টাফ নার্স সুলতান মাহমুদ বগুড়া শহরের মফিজ পাগলার মোড়ে উত্তরবঙ্গ নার্সিং কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন।

বগুড়া নার্সিং কলেজের দুই প্রভাষক মনজুর হোসেন ও আনিছার রহমান বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে মাত্র ১০০ মিটার পশ্চিমে সরদারপাড়ায় নাইটিঙ্গেল নার্সিং টিচিং হোম-এর মালিক। কোচিং ব্যবসা চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

নার্সিংয়ে ভর্তি কোচিং ফি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীর নিকট থেকে এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। বগুড়া নাসিং কলেজের প্রভাষক আনিছার রহমান বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। তিনি নার্সিং কোচিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন। এদিকে নন্দীগ্রামের বিজরুল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স সুলতান মাহমুদ মোবাইল ফোনে জানান, তিনি গত বছরের নভেম্বরে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেছেন। চাকরিতে যোগদানের আগে উত্তরবঙ্গ নাসিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল ছিলেন। এখন আর সেখানে যান না। তবে মাঝে মধ্যে ওদের কোন সমস্যা হলে তারা পরামর্শ নেয়। এছাড়া আমি কোন কোচিং ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত নহে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ