বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পোস্টমর্টেম রিপোর্টে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের নাম, পদবি এবং প্রতিবেদনের তথ্য স্পষ্ট ও পাঠোপযোগী করে প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আপিলের রায়ে গতকাল সোমবার বিচারপতি এএনএম বশির উল্লাহ এবং বিচারপতি মোস্তাফা জামান ইসলামের ডিভিশন বেঞ্চ রায়ের পর্যবেক্ষণে এ আদেশ দেন। আইন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। আপিলে আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হাসান শহীদ কামরুজ্জামান। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি এটর্নিজেনারেল মো. আমিনুল ইসলাম। আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি জানান, ২০০৩ সালে ধর্ষণের পর এক শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আপিল করেন। আপিলের রায় ঘোষণাকালে আদালত এ পর্যবেক্ষণ দেন। আমিনুল ইসলাম জানান, এক শিশু হত্যার ঘটনায় রায় ঘোষণার সময় হাইকোর্ট ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী ডাক্তারের নাম এবং প্রতিবেদনের হস্তাক্ষর স্পষ্ট ছিল না। সেটি মর্মার্থ উদ্ধারে আদালত বেগ পেতে হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে যে ডাক্তার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করবেন তাদের নাম-ঠিকানা (পোস্ট, পদবি) এবং ওই প্রতিবেদন যেন পাঠ করার উপযোগী হয়- এই মর্মে আদেশ দেন আদালত। পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ১ জুলাই যশোরের ঝিকরগাছার গদাখালী ইউনিয়নের বামনখালী গ্রামের রবিউল ইসলামের ৫ বছরের শিশু আসমা খাতুনকে পাট খেতে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করে। মামলার প্রধান আসামি ওই শিশুর চাচাতো ভাই আব্দুল কাদের। ঘটনায় চারদিন পর ঝিকরগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির পিতা। একই বছরের ৩১ আগস্ট আসামি আবদুল কাদেরের (১৯) বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। গ্রেফতারের পর আব্দুল কাদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাতে শিশুটিকে ধর্ষণের পর কিভাবে হত্যা করেছে তার বর্ণনা দেন। পরে হত্যা মামলায় ২০০৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি যশোরের নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুর মোহাম্মদ মোড়ল আবদুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।