Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ফোনালাপ ফাঁস করায়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

বেশ কিছুদিন ‘বসের’ মাধ্যমে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার এক নারী। এর প্রমাণ হিসেবে ‘বস’ এর সাথে হওয়া ফোনালাপ রেকর্ড করে তা ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। এই ‘অপরাধে’ নুরিল মাকনুন নামের ওই নারীকে ছয় মাসের কারাদন্ড দেয় দেশটির একটি আদালত। এবার সেই শাস্তির বিরুদ্ধে করা আবেদন বাতিল করেছে ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ আদালত।

লম্বক দ্বীপের মাতারাম শহরের একটি স্কুলে কাজ করতেন নুরিল, যেখানকার প্রধান শিক্ষক তাকে ফোন করে যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলতেন বলে অভিযোগ করেন নুরিল। এজন্য তিনি একদিনের ফোনালাপ রেকর্ড করে ছড়িয়ে দেন, যেখানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আপত্তিকর এবং অশালীন মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে স্কুলের অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যেও রেকর্ডিংটি ছড়িয়ে দেয়া হয় এবং পরে তা স্থানীয় শিক্ষা বিভাগের কাছেও পৌঁছে যায়। সামাজিক মাধ্যমেও কিছুদিনের মধ্যেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

আদালতের নথি অনুযায়ী, ওই রেকর্ডিং ছড়িয়ে পড়ার পরপরই চাকরি চলে যায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের। তার আর নুরিলের ফোনালাপ ছড়িয়ে দেয়ার কারণে পুলিশের কাছে নুরিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। ফোনালাপটি ছড়িয়ে পড়ার পর ২০১৫ সালে ওই নারীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন তার বস। আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।

নুরিলেন বিরুদ্ধে ‘অশালীন’ জিনিসপত্র ছড়ানোর অভিযোগ এনেছে ইন্দোনেশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট। নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার ইলেকট্রনিক ইনফরমেশন ও ট্রানসেকশন আইনে নুরিলকে ‘শালীনতা লঙ্ঘন’ করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। নিজের পক্ষে নতুন কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে না পারায় এই রায়ের বিরুদ্ধে করা নুরিলের আবেদনও গত বৃহস্পতিবার নাকচ করে দেয় আদালত। সূত্র : বিবিসি।



 

Show all comments
  • Mohammad Sabbir Hasan ৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৫৭ এএম says : 0
    কী অদ্ভুত পৃথিবীতে আমরা বাস করছি! কোন কোন ক্ষেত্রে অবিচার আবার অনেকে "double standard" গেম খেলে .. দারুণ এক রঙ্গমঞ্চ
    Total Reply(0) Reply
  • Ahmad Zafar ৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৫৮ এএম says : 0
    This is unfortunate !
    Total Reply(0) Reply
  • MN Munnu Munshi ৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৫৮ এএম says : 0
    গল্পের পেছনে কিন্তুু গল্প থেকেজায়
    Total Reply(0) Reply
  • Syed Sakhawat Hosen ৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৫৮ এএম says : 1
    আদালতের বিচার নিশ্চয়ই ঠিক আছে।। বিচার এখন মানবাধিকারকর্মী আর সাংবাদিকদের হাতে ছেড়ে দেয়া উচিৎ নাকি? খবরটি যেভাবে প্রচারিত হল এর মধ্যে যে বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মেকানিজম নেই তার গ্যারান্টি কি? আদালত কোন নারীকে বিনাদোষে সাজা দেয়না বরং অপরাধের পরেও নারীর শাস্তিকে অনেকক্ষেত্রে লঘুদন্ড দেয়।।
    Total Reply(0) Reply
  • Humayon Ahmed ৯ জুলাই, ২০১৯, ১:৫৯ এএম says : 0
    টাকা দিয়ে চরিত্রবান নারীকেও অসতী বানানো যায়।কিন্তু টাকা না থাকলে জনসম্মুখে ঘটা অন্যায়ের পরও বিচার পাওয়া যায় না।যদি বিশ্বজিৎ এর বাবা মার টাকা থাকতো,তাহলে তার বাবা মাও ছেলে হত্যার বিচার পেতো
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ