Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিলিকে হারিয়ে আর্জেন্টিনার প্রতিশোধ, মেসির লাল কার্ড

কোপা আমেরিকা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৯, ৩:২৬ এএম | আপডেট : ৪:১৩ এএম, ৭ জুলাই, ২০১৯

বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চিলিকে হারিয়ে কোপা আমেরিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের প্রথমার্ধে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি।

সাও পাওলোর কারিস্থিয়ান্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শনিবার রাতে চিলিকে ২-১ গোলে হারায় লিওনেল স্কালোনির দল। এই জয়ে প্রতিযোগিতায় চিলির বিপক্ষে অপরাজিত রইল আর্জেন্টিনা। 

প্রধমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে ঠেলাঠেলিতে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখেন চিলি ডিফেন্ডার গ্যারি মেডেল ও আর্জেন্টিনা অধিনায়ক মেসি। এসময় সার্জিও আগুয়েরো ও পালো দিবালার গোলে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে আর্তুরো ভিদালের সফল পেনাল্টি কিকে ব্যবধান কমায় চিলি।

দুই দলেরই শিরোপার আশা শেষ হয়েছে আগেই। তবে অনেক হিসাব মেটানোর বাকি ছিল আর্জেন্টিনার। টানা দুইবার এই চিলির কাছেই ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে হৃদয় ভাঙে আর্জেন্টিনার। চিলিও ছিল চুল পরিমান ছাড় না দেয়ার প্রতিজ্ঞায়। দু’দলের খেলোয়াড়দের যুদ্ধংদেহী মনোভাব ও লিওনেল মেসির লাল কার্ড ম্যাচকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়।

চিলির শারীরিক ফুটবলের কাছে আর্জেন্টিনা ছিল অসহায়। বিশেষ করে প্রথমার্ধে। তবে বলের দখল কম থাকলেও গোলের সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনাই। সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হারা ম্যাচে রেফারিং নিয়ে অফিসিয়ালি অভিযোগ করা আর্জেন্টিনা এদিনও বেশ কয়েরকবার রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বলি হয়।

ম্যাচের ১২তম মিনিটে মেসির বুদ্ধিদীপ্ত পাসে দলকে এগিয়ে নেন আগুয়েরো। মিডফিল্ডে ফাউলের শিকার হন মেসি। তা থেকে তারই দ্রুত নেয়া ফ্রি-কিক সুযোগসন্ধানী আগুয়েরোকে খুঁজে নেয়। গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালে পাঠান ম্যানচেস্টার সিটি ফরোয়ার্ড।

গোল পেয়ে গতি আরো বাড়ে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নদের খেলায়। দশ মিনিট বাদেই লো সেলসোর বাড়ানো বল দারুণভাবে দখলে নিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন প্রথমবারের মত একাদশে সুযোগ পাওয়া দিবালা।

৩২তম মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করার সুবর্ণ সুযোগ ছিল দিবালার সামনে। মেসির চিপ শটে বাড়ানো বল ঠিকমত ভলি করতে পারেননি জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড। বল সামান্যর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে আসে দুই দলের দশ জনের দলে পরিণত হওয়ার সেই মুহূর্ত। দিবালার বাড়ানো বল দখলে নিতে গিয়ে মেডেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মেসির। এসময় দুজন ঠেলাঠেলিতে জড়িয়ে পড়েন। রেফারি ভিএআরের সহায়তা না নিয়েই দুজনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান। এসময় দু’দলের খেলোয়াড় ও রেফারির মধ্যে বেশ কিছু সময় ধরে চলে বাকবিতন্ডা। 

আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির এটি দ্বিতীয় লাল কার্ড। ২০০৫ সালে হাঙ্গেরির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে দেখেছিলেন প্রথম লাল কার্ড, যা ছিল তার অভিষেক ম্যাচও।

ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে ডি বক্সের সামান্য বাইরে ফাউল পায় চিলি। রিপ্লেতে তেমনি মনে হচ্ছিল। কিন্তু রেফারি ভিএআরের সহায়তা নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা।

শেষ দিকে আগুয়েরো-ডি মারিয়া জুটি বেশ কয়েকবার ত্রাস সৃষ্টি করলেও জালের দেখা পাননি। দুবার সুযোগ হাতছাড়া করেন আগুয়েরো। তাই ব্যবধান বাড়েনি। তবে গত দুইবার ফাইনালে হারের ক্ষতে কিছুটা হলেও সান্ত্বনার প্রলেপ দিল লা আলবাসিলেস্তেরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ