নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপ তো শেষ। এখন কি করবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা? আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার নিয়ে কি চিন্তা তার? পাকিস্তানের কাছে বাজে হারের পর মানসিকভাবে ভগ্নদশা অবস্থায় অধিনায়ক জানিয়েছেন পুরো বিষয়টা নিয়ে আরেকবার ভাববেন, দেশে ফিরেই দেবেন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
সেমিফাইনালের আশা শেষ হওয়ার পর শুক্রবার বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ থেকে একতা সান্ত¡নার জয় খুঁজছিল বাংলাদেশ। সেরা চারে যেতে না পারলেও থাকার ইচ্ছা ছিল সেরা পাঁচে। কিন্তু হয়নি কিছুই। পাকিস্তানের দেওয়া ৩১৬ রান তাড়ায় বাংলাদেশ থেমেছে ২২১ রান। অনেকটা লড়াইবিহীন হার হয়েছে দলের। টুর্নামেন্টে এদিনই সবচেয়ে বিবর্ণ ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ।
দলের হার, নিজের সময়টাও ভাল যাচ্ছে না। ব্যাটিংটা মোটামুটি সন্তোষজনক হলেও কিন্তু বোলিং, বিশেষ করে নতুন বলের বোলিং দলকে ভুগিয়েছে প্রবলভাবে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন টুর্নামেন্ট জুড়ে। বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে বোলারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দীর্ঘ উইকেটখরা এসেছে এই টুর্নামেন্টেই। দুই পায়ে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে চেষ্টা করে গেছেন ম্যাচের পর ম্যাচ, কিন্তু এবার আর চোট জয়ের গল্প রচনা করতে পারেননি। মাশরাফি নিজেও স্বীকার করলেন, হতাশার যথেষ্ট কারণ আছে।
ক্যারিয়ারের অন্তিমে পৌঁছে যাওয়া মাশরাফি কি সিদ্ধান্ত নিলেন আগ্রহ ছিল গণমাধ্যমের। তিনি কোন ঘোষণা দিয়ে দেন কিনা গুঞ্জন ছিল তা নিয়েও। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রমিজ রাজা তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনি তো এখন রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে গেছেন, তাহলে খেলা কি আর চালিয়ে যাবেন। উত্তরে মাশরাফি আগের কথাতেই থেকেছেন অটুট, ‘ এখন দেশে ফিরে যাব। দেশে ফিরে ক্যারিয়ার নিয়ে আবার ভাবব। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেব।’ একই প্রশ্ন হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনেও। অধিনায়কের ভবিষৎ চিন্তা কি? তার জবাব, ‘ভবিষৎ চিন্তা হচ্ছে দেশে ফিরে যাব’। ইঙ্গিত পরিষ্কার দেশে ফিরেই আসছে বড় সিদ্ধান্ত।
যুক্তরাজ্যের আট ভেন্যুতে ঘুরে ঘুরে নয় ম্যাচ খেলা বাংলাদেশ টুর্নামেন্ট জুড়েই পেয়েছে ব্যাপক সমর্থন। দেশে ফেরার আগে বিদায় বেলায় ভক্ত সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি মাশরাফি, ‘সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাই সবগুলো ভেন্যুতে গিয়ে আমাদের সমর্থন করার জন্য। আমরা ছিটকে পড়ার পরও তারা সমর্থন করে গেছে। আশা করছি পরেরবার আমরা তাদের খুশি করব।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।