Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অর্ধনগ্ন ছবিতেই দেশছাড়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ইরানের মডেল নেগজিয়া (২৯) নিজের অর্ধনগ্ন ছবি পোস্ট করে এখন পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে তার রাত কাটে রাস্তায় কিংবা পার্কের বেঞ্চে। দেশটির রেভুল্যুশনারি গার্ডস মডেলের ওই ছবিকে অশ্লীল ও নির্লজ্জ বলে আখ্যায়িত করেছে। এ জন্য তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। নেগজিয়াকে দেখা গেছে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে।

নেগজিয়া ওইসব ছবি তুলেছিলেন ২০১৭ সালে। তখন থেকেই তিনি রেভুল্যুশনারি গার্ডসের রোষানলে পড়েন। তার দাবি, অর্ধনগ্ন কতগুলো ছবি একজন ফটোগ্রাফার পুলিশের হাতে দেয়ার পর থেকে তিনি এমন রোষে পড়েছেন। তার আশঙ্কা, এর মধ্য দিয়ে ইরানে কঠোরভাবে অনুসরণ করা শরিয়া আইন লঙ্ঘনের দায়ে তিনি কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হবেন।

সাজা ও জেল হওয়ার ভয়ে প্রথমে পালিয়ে তুরস্কে চলে যেতে বাধ্য হন নেগজিয়া। সেখান থেকে প্যারিসে চলে যান। গত বছরের নভেম্বর মাসে তিনি প্যারিসেই আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। এক্ষেত্রে তাকে জীবনের সঙ্গে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। কারণ, সঙ্গে করে যা সামান্য অর্থ নিয়ে গিয়েছিলেন তা ফুরিয়ে গেছে। কোনো কাজ জুটিয়ে নিতে না পেরে এখন তিনি গৃহহীন। ঘুমাচ্ছিলেন রাস্তায় অথবা কোনো পার্কের বেঞ্চের ওপর।

নেগজিয়া সাংবাদিকদের বলেছেন, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়েছে যে, একদিন পোশাকসহ একটি ব্যাগ মাত্র ১০ ইউরোতে বিক্রি করে দিতে হয়েছে। কারণ, পেটে অনেক ক্ষুধা। এটা বিক্রি না করলে খাবার কেনা সম্ভব হচ্ছিল না। একদিকে কাজ ও খাবারের কোনো ব্যবস্থা নেই। রাতে নেই থাকার জায়গা। এত দুর্ভোগ সত্তে¡ও তিনি তার কৃতকর্মের জন্য মোটেও অনুশোচনা করেন না। তিনি বলেন, আমি একজন গর্বিত নারী। আমি ইরান থেকে বেরিয়ে এসে ভেঙে দিয়েছি আইন।

ফ্রান্সে পৌঁছার পরই নেগজিয়া আশ্রয় চাওয়ার কাগজপত্র সংগ্রহ করতে শুরু করেন। জমা দেন দরকারি সব ডকুমেন্ট। কিন্তু তার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। নেগজিয়ার কাহিনী ফ্রাঞ্চের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর একটি অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে তার ঠাঁই হয়েছে। এখন ফরাসি সরকার তার বিষয়টি রিভিউ করছে। সূত্র : লা প্যারিসিয়েন।



 

Show all comments
  • তানবীর ৭ জুলাই, ২০১৯, ৯:৫৯ এএম says : 0
    একদম ঠিক কাজ হয়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফুল ইসলাম ৭ জুলাই, ২০১৯, ১০:০৪ এএম says : 0
    এটা কখনই ইসলাম সমার্থন করে না।
    Total Reply(0) Reply
  • নাঈম ৭ জুলাই, ২০১৯, ১০:০৮ এএম says : 0
    আমাদের দেশেও এরকম করা উচিত বলে আমি মনে করি
    Total Reply(0) Reply
  • ss miah ৭ জুলাই, ২০১৯, ৯:০১ পিএম says : 0
    যে যাই বলোক,তিনি যা করেছেন নিজের মনের ইচ্ছা মেটানোর জন্যই ফ্রান্সে/লেংটা দেশে আশ্রয় নিয়েছেন এ ছাড়া এতো বড়ো উপকার ইসলাম তো করবেনা,তাই হয়তো লেংটা দেশ বাঁচার জন্য ঠিক করেছেন, জীবন যতক্ষন আছে, ততক্ষন যোবনের তৃষ্ণা উপভোগ করার জন্য ইংলিশ/ নেকেড দেশ বাঁচার জন্য ঠিক করে নিয়েছেন আবার বলে আমি ওই দেশের আইন ভেঙে দিয়েছি পালিয়ে এসে !
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ