Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

নারায়গঞ্জের বন্দর থানা এলাকার মদনপুর চৌরাস্তা ও আশপাশ এলাকার মানুষ চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায় অতিষ্ঠ। স্থানীয়দের অভিযোগ, চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে তারা জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
এলাকাবাসীর তথ্য মতে, মদনপুরে মহাসড়কে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছে একটি সংঘবদ্ধচক্র। বরিশাইল্যা মাসুদ ও নাটা আমীরের লোকজন নিয়ন্ত্রণ করছে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা। গত এক মাসে নারায়নগঞ্জে র‌্যাবের অভিযানে নাটা আমীরের সহযোগী ফেন্সী মাসুদসহ ১৬ জন গ্রেফতার হয়েছে। আমীরের অপর সহযোগী রাসেল মাদক কেনার সময় টেকনাফ পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায় কেউ বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে ভিটাছাড়া করে নাটা আমীর বাহিনী।
পুলিশ জানায়, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী নাটা আমীরের বিরুদ্ধে রয়েছে খুন, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ দেড় ডজন মামলা। পুলিশের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সাথে সখ্যতার কারণে নাটা আমীর বাহিনীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। যে কারণে স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যসায়ীরা নীরবে সহ্য করছে সকল অত্যাচার ও নির্যাতন।


স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মদনপুর চৌরাস্তা মহাসড়কে বিভিন্ন দোকান, বাস , টেম্পু স্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে দৈনিক লক্ষাধিক টাকা চাঁদা ওঠে। আমীরের বাহিনীই এই চাঁদা তোলে। এসব বিষয়ে মদনপুর ৫নং ওয়ার্ডের খলিল মেম্বার বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি বন্ধের কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিলে নাটা আমীর বাহিনী আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর প্রকাশ্যে হামলা চালায়। গত বছরের ১৮ নভেম্বর আমীর বাহিনী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, লুটপাটসহ আমাকে হত্যার উদ্দেশে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় আমার স্ত্রী বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা করে। এতে আমীর বাহিনী আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ভিটে ছাড়ার হুমকি দেয়। তিনি বলেন, আমি আমীর বাহিনীর ভয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীন অবস্থায় বসবাস করছি।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন এসেছি। মামলার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি শিগগিরি চার্জশটি দেয়া হবে। খলিল পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে আমরা যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ