পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুই মাস তথা গত মে ও জুন মাসে সারাদেশে বজ্রপাতে মারা গেছেন ১২৬ জন। এর মধ্যে ২১ জন নারী, ৭ জন শিশু এবং ৯৮ জন পুরুষ। এ সময় আহত হয়েছেন ৫৩ জন। সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে হওরাঞ্চলখ্যাত কিশোরগঞ্জ জেলায়। এ জেলায় মারা গেছেন ১৬ জন। গতকাল শনিবার সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম এ তথ্য দিয়েছে। সংগঠনটি গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা, কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টেলিভিশনের স্ক্রল থেকে বজ্রপাতে হতাহতের এই তথ্য নেয়া হয়েছে।
থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম বলছে, কিশোরগঞ্জের পর সাতক্ষীরা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, নওগাঁ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, টাঙ্গাইল জেলায় বজ্রপাতে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মে মাসে এসব জেলায় নারী ৯ জন, শিশু ৩ জন এবং ৪৮ জন পুরুষ মারা গেছেন। একই সঙ্গে মে মাসে বজ্রপাতে আহত হয়েছেন ২৮ জন। জুন মাসে মারা গেছেন মোট ৬৬ জন। এর মধ্যে নারী ১২ জন, শিশু ৪ জন এবং ৫০ জন পুরুষ। এ ছাড়া, জুন মাসে বজ্রাঘাতে মোট ২৫ জন আহত হয়েছেন।
মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে থান্ডারস্টর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরাম। এরপর বেশি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় মাছ ধরতে গিয়ে। এ ছাড়া, পর্যায়ক্রমে মাঠে গরু আনতে গিয়ে এবং টিন ও খড়ের ঘরে অবস্থান ও ঘুমানোর সময় বজ্রাঘাতে বেশি মানুষ মারা গেছেন। একই সঙ্গে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় অজ্ঞতাবশত লম্বা গাছের নিচে আশ্রয় নেয়ার সময় গাছে বজ্রপাত হওয়ায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
সংস্থাটির রিপোর্ট মতে, বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মারা গেছে কিশোরগঞ্জে ১৬ জন। এরপর রাজশাহীতে ১০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯ জন, পাবনায় ৬ জন, দিনাজপুরে ৭ জন, নীলফামারীতে ৪ জন, জামালপুরে ৪ জন, শেরপুরে ৪ জন, নওগাঁয় ৬ জন, সিরাজগঞ্জে ৫, নারায়ণগঞ্জে ৫ জন, মৌলভীবাজারে ৩ জন, খুলনায় ৪ জন, সাতক্ষীরায় ১১ জন ও টাঙ্গাইলে ৪ জন হবিগঞ্জে ৩ জনসহ বিভিন্ন জেলায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
সংগঠনটি বজ্রপাতের সময় করণীয় বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়ে জানিয়েছে, যারা ক্ষেতখামারে কাজ করেন তারা বেশি ঝুঁঁকিতে থাকেন। বাড়ির ছাদ কিংবা উঁচু স্থানে থাকলে দ্রুত সেখান থেকে নেমে নিরাপদ স্থানে যেতে হবে। পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেয়া বেশি নিরাপদ। তবে পাকাবাড়ি সুউচ্চ হলে সেক্ষেত্রে বজ্র নিরোধক ব্যবস্থা থাকতে হবে। বজ্রপাতের সময় জানালার কাছে না থাকাই ভালো। পায়ে রাবারের স্যান্ডেল পরে থাকা এবং পানি ও যেকোনো ধাতব বস্তুর যেমন সিঁড়ির বা বারান্দার রেলিং, পানির কল ইত্যাদির স্পর্শ থেকে করা যাবে না। বিদ্যুৎ পরিবাহী যেকোনো বস্তুর স্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে। বজ্রপাতে বাড়ির ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র যেগুলো ইলেকট্রিক সংযোগ বা ডিসের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা উচিত।
মাঠের মধ্যে ফাঁকা জায়গায় বজ্রপাত হওয়ার অবস্থা তৈরি হলে কানে আঙুল দিয়ে চোখ বন্ধ করে নিচু হয়ে বসে থাকতে হবে। কিস্তু মাটিতে শোয়া যাবে না। গাড়িতে থাকা অবস্থায় বজ্রপাতের পরিস্থিতি তৈরি হলে গাড়ির মধ্যে থাকাই নিরাপদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।