Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কলকাতার আতর দোকান

রবীন্দ্রনাথ ও পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ক্রেতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

চারদিকে মম করছে সুগন্ধ। নাখোদা মসজিদ সংলগ্ন জাকারিয়া স্ট্রিট। কলকাতার আতর সাম্রাজ্য আটকে গেছে এই অঞ্চলে। যেখানে আলাদা করে জায়গা করে নিয়েছে খুদা বক্স ও নবি বক্স পারফিউমার্স। ১৮২৪ সালে তৈরি এই দোকানে একসময় আতরের খদ্দের ছিলেন রবীন্দ্রনাথ, নেতাজি থেকে পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান, নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ।

একসময় নবাবদের মহল থেকে বাঙালি বনেদি বাড়িতে আতরের চল ছিল। ঋতু বদলের সঙ্গে আতরের সংগ্রহ বদলাতেন গন্ধবিলাসীরা। তবে এ শহরে আতরের ব্যবহার বাড়ে লাক্ষেèৗর নির্বাসিত নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ কলকাতায় আসার পর থেকেই। ১৮৫৬ সালে নবাব ওয়াজেদ আলি কলকাতায় এসেছিলেন। কিন্তু তার আগেই অর্থাৎ ১৮২৪ সালে খুদা বক্স ও তার ছেলে নবি বক্স কনৌজের কারখানা থেকে সুগন্ধি নিয়ে আসেন কলকাতায়।
রাস্তায় তেমন আলোর ব্যবস্থা না থাকায় ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হত বেচা-কেনা। সন্ধ্যের মধ্যে বন্ধ হয়ে যেত দোকান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান, মরহুম রাজ্যপাল নুরুল হাসান, নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ ও পরে তার বংশধরদের আতরের বরাত পেতেন খুদা বক্স।

খুদা বক্স ও নবি বক্স পারফিউমার্সের নবম বংশধর নেয়াজউদ্দিন আল্লা বক্স ও সফিকুদ্দিন আল্লা বক্স বলেন, ‘আমরা শুনেছি রবীন্দ্রনাথের গোলাপ আর জুঁইয়ের গন্ধ খুব পছন্দ ছিল। তখন এ শহরেও আতর তৈরি হত। বেঙ্গল কেমিক্যালসের উল্টো দিকে ফুলের বাগিচা ছিল। সেখানকার ফুল দিয়ে অনেক আতর তৈরি হয়েছে। এখন মুম্বাই, কনৌজ থেকেই আতর আসে’।

তাদের কথায়, ‘দামি আতরের বিক্রি এখন খুবই কম। এখন মূলত ৫০-১০০ টাকার আতরের চাহিদাই বেশি। এগুলো সব সিন্থেটিক আতর। আসল আতরের অনেক দাম। খাস আতর তৈরিতে চন্দন তেল লাগে, যা এখন দুর্মূল্য। ১০ গ্রাম আসল আতরের নূন্যতম দাম হাজার টাকার মতো। চার-পাঁচ হাজার টাকারও আতর আছে’।
১৪১ বছরের আরও এক পুরোনো রবীন্দ্র সরণির তাজ সুর্মা ও আতর স্টোর্সের মালিক জামালুদ্দিনের কথাতেও স্পষ্ট, দাবি আতরের ক্রেতা দিন দিন কমছে। ফলে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে খস, উদ, গোলাপ, মালতি, মজমুয়ার মতো দামি আতর। পারফিউম, বডি স্প্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আতরের সুগন্ধ কতদিন দীর্ঘস্থায়ী হবে, এখন সে প্রশ্নই ভাবাচ্ছে শতবর্ষ পেরোনো আতর বিক্রেতাদের। সূত্র : কলকাতা২৪।



 

Show all comments
  • Talukder Raju ৭ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    আল্লাহ এই দোকানে বরকত বাড়িয়ে দিক!
    Total Reply(0) Reply
  • Aritra Sarkar ৭ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    r akhon begam saheba.
    Total Reply(0) Reply
  • Mukherjee Nandini ৭ জুলাই, ২০১৯, ১:৩৮ এএম says : 0
    যাবার ইচ্ছা রইলো
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ