Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রেল সড়কের সুবিধা পাচ্ছেনা মির্জাপুরবাসী

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৯, ৪:২১ পিএম

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলাবাসী রেল সড়কের সুবিধা পাচ্ছে না। ট্রেনে চাহিদা মাফিক আসন সংখ্যা বরাদ্দ না থাকার পাশাপাশি চলাচলকারী সকল আন্তনগর ট্রেন মির্জাপুর রেলওয়ে স্টেশনের না থামায় সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। আর রেল পরিবহন সুবিধা দিতে না পারায় সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বঙ্গবন্ধু সেতু রেল সংযোগ সড়কে মির্জাপুর রেল স্টেশন দিয়ে ২০০৩ সালের জুন মাসে রেল চলাচল শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে সড়কটিতে চলাচলকারী ট্রেনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সড়কটিতে খুলনা-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী ট্রেন আন্ত:নগর সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকায় সিল্কসিটি, ধুমকেতু ও পদ্মা এক্সপ্রেস, পঞ্চগড়-দিনাজপুর-ঢাকায় দ্রুতযান ও একতা, লালমনিরহা-ঢাকায় লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর-ঢাকায় রংপুর এক্সপ্রেস, নীলফামারী-ঢাকায় নীলসাগর এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ-ঢাকায় সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন উভয়মুখী চলাচল করে। এছাড়া রাজশাহী এক্সপ্রেস নামে একটি লোকাল ও টাঙ্গাইল কমিউটার নামে একটি কমিউটার ট্রেনও উভয়মুখী চলে। কিন্তু এসব ট্রেনের মধ্যে শুধুমাত্র সুন্দরবন, সিল্কসিটি ও চিত্রা এই তিনটি আন্তনগর এবং টাঙ্গাইল কমিউটার ও সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস মির্জাপুরে যাত্রাবিরতী করে। এসব ট্রেনে সুন্দরবনে ঢাকাগামী ২০টি ও খুলনাগামী ৫টি, সিল্কটিতে ঢাকাগামী ১৫টি ও রাজশাহীগামী ২০টি, চিত্রাতে ঢাকা-খুলনা উভয়মুখী ১০টি করে এবং টাঙ্গাইল কমিউটারে উভয়মুখী চেয়ার ১০টি ও সাধারণ পাঁচটি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
মির্জাপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মির্জাপুরে দেশের ঐতিহ্যবাহী কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নাসিং স্কুল ও কলেজ, নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতেশ্বরী হোমস, মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ, মির্জাপুর সরকারি সদয় কৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ সরকারি-বেসরকারী নানা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উপজেলার গোড়াইয়ে রয়েছে শিল্পাঞ্চল। এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে অর্ধশতের বেশি কারখানায় প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। যার প্রতিনিয়ত ঢাকা ও দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করেন। অথচ সকল আন্তনগর ট্রেন মির্জাপুরে না থামার পাশাপাশি বরাদ্দৃকত আসন সংখ্যা খুবই কম। এতে এলাকাবাসী রেল সড়কের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সংশ্লিষ্টদের সেদিকে এতটুকুও খেয়াল নেই।’
মির্জাপুর পরিবেশক মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘মির্জাপুরে শিল্পাঞ্চল থাকায় ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেশি। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে ধান, চাল, ভুট্টাসহ মৌসুমী ফল বাস কিংবা ট্রাকযোগে আনেন। এতে রাস্তায় যানজটসহ তাঁদের নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে। অত্যন্ত সুবিধাজনক উপায়ে ট্রেনে পন্য পরিবহনের সুযোগ থাকলেও মির্জাপুরবাসী তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে।’
মির্জাপুর পৌরসভার মেয়র মো. শাহাদত হোসেন জানান, রেলের সেবা মির্জাপুরবাসীর প্রাণের দাবি এবং তাদের অধিকার। সবগুলো আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতী করে কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসীর দাবি পূরণ করবেন বলে তাঁর প্রত্যাশা।
মির্জাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার নাজমুল হুদা জানান, ট্রেনের আসন সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ইতিপূর্বে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও ট্রেনের যাত্রাবিরতীর বিষয়টি পুনরায় কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: টাঙ্গাইল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ