Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ে অনিয়ম

চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৯, ১২:২৭ পিএম

চাঁদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ে অনিয়ম হচ্ছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে নির্ধারিত ৩০ জুনের মধ্যে কেনা হয়নি মেশিন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে জেলার এক হাজার ১শ’ ৪৭টি বিদ্যালয়ের জন্য ৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার স্লিপ বরাদ্দ হয়। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা বিবেচনা করে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এ বরাদ্দ থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ের নির্দেশনা আসে। কাগজ-কলমে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের হাজিরা মেশিন ক্রয় করা হয়েছে- মর্মে এরই মধ্যে ব্যয় দেখানো হয়েছে। যদিও এ মেশিন ক্রয় করতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার উর্ধ্বে লাগার কথা নয়। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার ভাউচার স্কুল প্রধানদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছে।

আরো জানা যায়, হাজিরা মেশিন ক্রয় সংক্রান্ত যেই ভাউচার তৈরি করা হয়েছে, তাতে কোনো কোনো বিদ্যালয়ে বিশ হাজার, আবার কোনটিতে বাইশ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এখনো পর্যন্ত জেলার কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাজিরা মেশিন লাগানো হয়নি।

চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি সভা হয়। এ সভায় সারাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালুর সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের জন্য বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়। জুন মাসের মধ্যে মেশিন কেনার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কিনতে ব্যর্থ সংশ্লিষ্ট দফতর। তবে ব্যর্থতা ঢাকতে হাজিরা মেশিন ক্রয়ের বিষয়টি অধিক টাকা খরচ দেখিয়ে কাগজে-কলমে সেরে রাখেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

তবে বিষয়টি স্বীকার করে চাঁদপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো সাহাব উদ্দিন বলেন, ভাউচার মূলে টাকা ক্যাশ হয়েছে। কেনার কাজ প্রক্রিয়াধীন। হয়তো অনেকে ক্রয় করেনি। তবে শিগগিরই ক্রয় করে ফেলবে। অনেকে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কিনতে ১০ থেকে ১২ টাকা লাগবে বলে জানিয়েছেন। আবার অনেকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার কথা জানিয়েছেন। তবে স্পেসিফিকেশন থাকতে হবে। দাম বাড়বে বা কমবে। ভাউচারের মাধ্যমে কেনাকাটা বা সমন্বয় করা শুধু এ দফতরেই হয় না, অন্যান্য দফতরেও হয়ে থাকে।

চাঁদপুর সদর ইউএনও কানিজ ফাতেমা বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা মিলে পছন্দমত স্থান থেকে মানসম্মত হাজিরা মেশিন ক্রয় করতে পারবে। কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ক্রয় করা লাগবে না। তাই নিয়ম মেনে মেশিন ক্রয়ের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অনিয়ম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ