বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কলাপাড়ায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাইয়ের হামলায় অপর দুই ভাই ও ভাতিজী গুরুতর আহত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে মহিপুরের নিজামপুরের এ ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
আহত ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, নিজামপুরের মৃত্য নজির আহম্মেদ ফকিরের ছেলে নাসির চৌকিদার ও হারুন ফকিরের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এঘটনায় গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর হারুন ফকির বাদী হয়ে নাসির ফকিরসহ আরও তিন জনের নাম উল্লেখ করে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার জের ধরে শুক্রবার সকালে নাসির চৌকিদার ও হারুন ফকিরের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নাসির চৌকিদার, তার ছেলে মিরাজ ফকির ও স্ত্রী জাহানার বেগম হারুন ফকিরকে মারধর শুরু করে। তাদের অপর ভাই নিজাম ফকির ও হারুন ফকিরের মেয়ে শারমিন মারধর ছাড়াতে আসলে নাসির চৌকিদার কামড় দিয়ে তাদের জখম করে। এছাড়া ছুড়ি দিয়ে শারমিনের ঘাড়ের উপর আঘাত করে। এসময় গুরুতর আহত হয় হারুন ফকির(৫৫), তার ভাই নিজাম ফকির(৪০) ও মেয়ে শারমিন বেগম(১৮)। আহতরা বর্তমানে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত শারমিন বেগম জানান, আমার বাবাকে বাচাতে গিয়ে চাচার হাতে মারধরসহ কামড় খেয়েছি। আহত নিজাম ফকির জানান, আমার ভাইদের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। কিন্তু সেজ ভাই হারূন ফকিরকে মারতেছিল আমারই বড় ভাই নাসির চৌকিদারসহ তার ছেলে ও বউ। মারধর থামাতে গেলে আমার ভাই নাসির চৌকিদার আমাকেও কামড় দিয়ে আহত করে।
কলাপাড়া হাসপাতালের চিকিৎসক কামরুজ্জামান জানান, আহতদের শরীরে কামড়ের চিহ্ন রয়েছে।
অভিযুক্ত নাসির চৌকিদার বলেন, এঘটনা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। উল্টো আমার ভাই ভাতিজী আমাকে মারধর করেছে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মাহবুবুর রহমান জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হইবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।