বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, দীর্ঘ বৃটিশ পরাধীনতার নাগপাশ থেকে সমগ্র ভারত বর্ষকে স্বাধীন করার লড়াইয়ে মুসলমানরাই ময়দানে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ ও প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন। যে মুসলমানদের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে ভারত স্বাধীন হয়েছে, আজ ভারতে সেই মুসলমানদেরকেই নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে। এর চেয়ে বড় গাদ্দারি, নিমকহারামি ও জুলুম আর কিছু হতে পারে না। আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ভারতে মুসলিম নিপীড়ন-নির্যাতন বন্ধে জাতিসংঘ ও ওআইসিকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
ভারতে মুসলমানদের উপর নির্যাতন পিটিয়ে হত্যা গো-রক্ষকদের হামলা ইবাদত-বন্দেগী ও ধর্ম পালনে বাধাদান মুসলিম উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র এবং হিন্দুত্ববাদি স্লোগান জয় ম বলতে বাধ্য করাসহ বহুমুখী সা¤প্রদায়িক হামলা ও নিপীড়নের প্রতিবাদে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচীতে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেম একথা বলেন।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন দলের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা জয়নুল আবেদীন, মাওলানা আব্দুল গাফফার, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা বশিরুল ইসলাম খাদিমানী, মাওলানা কলিমুল্লাহ, মাওলানা গোলাম মাওলা, মাওলানা এখলাছুর রহমান, মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাহফুজুর রহমান, আতাউর রহমান ও বশির আহমদ প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদি বিজেপি ও গোরক্ষকরা মুসলমানদের উপর বর্বরোচিত সা¤প্রদায়িক হামলাসহ তাদের মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ দিন দিন আরো বাড়িয়েই চলেছে। প্রায় প্রতিদিনই প্রকাশ্য রাজপথে উল্লাস নৃত্য করে মুসলমানদেরকে পিটিয়ে খুন করা হচ্ছে। এ পর্যায়ে ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব দর্শকের ভ‚মিকা পালন করে কার্যত: হামলাকারীদেরকে সহযোগিতা করছে। এমনকি মুসলমানদের নাগরিকত্ব হরণের মতো ধৃষ্টতামূলক ষড়যন্ত্রে ভারত সরকার জড়িয়ে পড়েছে। আমরা এসব মানবতাবিরোধী নিষ্ঠুর আচরণের নিন্দা এবং অনতিবিলম্বে এসব বন্ধের দাবি জানাই।
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, আমরা বাংলাদেশের মুসলমানরা ভারতের নির্যাতিত মুসলমানদের সাথে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি। ভারতের মুসলিম নিপীড়ন ও মানবাধিকার হরণ বন্ধে আমরা বাংলাদেশ সরকারের জোর ক‚টনৈতিক তৎপরতার দাবি জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।