পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বকেয়া অর্থ পরিশোধ না করায় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডইউথ কমিয়ে দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)। এই দুই অপারেটরের কাছ থেকে ১৩ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা পাওনা আদায়ে কড়া পদক্ষেপ হিসেবে ব্যান্ডউইথ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইথ সীমিত করতে দেশের ৫টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরকে এই নির্দেশনা পাঠিয়েছে বিটিআরসি। এই নির্দেশনা কার্যকর হলে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট ব্যবহারে বড় ধরনের সমস্যায় পড়বেন। দেশের প্রায় ৮০ ভাগ মোবাইল ফোন গ্রাহক এই দুই অপারেটরের সংযোগ ব্যবহাকারী হওয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধীরগতির অভিজ্ঞতা পাবেন।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, মে মাস শেষে দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহকের সংখ্যা ছিল ১৬ কোটির কিছু বেশি। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের গ্রাহক প্রায় ৭ কোটি ৪৮ লাখ। আর রবির গ্রাহক ৪ কোটি ৭৭ লাখ।
বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- গ্রামীণফোনের কাছে পাওনা প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। আর রবির কাছে পাওনা প্রায় ৮৬৭ কোটি টাকা। নিরীক্ষা আপত্তি হিসেবে এ টাকা দাবি করে বিটিআরসি। অবশ্য দুই অপারেটরই এই পাওনা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করে। এর আগে একাধিকবার পাওনা আদায়ে দুই অপারেটরকে চিঠি দিয়েছে বিটিআরসি। গত এপ্রিল মাসে জাতীয় সংসদে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এই পাওনার হিসাব তুলে ধরেন। ওই সময় তিনি চিঠি দেওয়ার কথাও জানান।
যদিও গত এপ্রিল মাসে বকেয়া পরিশোধের জন্য অপারেটর দুটিকে চিঠি পাঠানো হয়। টাকা পরিশোধের জন্য অপারেটর দুটিকে দুই সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়। বিটিআরসি থেকে তখন বলা হয়, গ্রামীণফোন ও রবির সর্বশেষ অডিটের পরে এই ডিমান্ড লেটার পাঠানো হয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করায় এবার অপারেটর দুটির ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেয়ার নির্দেশনা দিল টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। বৃহস্পতিবার বিটিআরসি লেভেল-৩ ক্যারিয়ার লিমিটেড, ম্যাঙ্গো টেলিসার্ভিসেস, সামিট কমিউনিকেশন, আমরা টেকনোলজি ও ফাইবার অ্যাট হোম গ্লোবালকে গ্রামীণফোন ও রবিকে ব্যান্ডউইথ সীমিত করার নির্দেশ দেয়। এতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ বাড়ানো যাবে না। বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও গ্রামীণফোন ও রবি সরকারের এ পাওনা অর্থ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয় চিঠিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি আইআইজির কর্মকর্তা বলেন, বিটিআরসির ব্যান্ডউইথ কমানোর তথা সীমিত করে দেওয়ার নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই আইআইজিগুলো এরই মধ্যে তা কার্যকর করতে শুরু করেছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোবাইল অপারেটর দুটির অনুকূলে নতুন করে ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি/ব্যান্ডউইথ বরাদ্দ ও বৃদ্ধি করা হতে বিরত থাকারও জন্যও আইআইজিগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।