Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভাড়া না দিয়ে আড়াই লক্ষাধিক সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নাজিরপুর (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়া তার বেতন থেকে ভাড়া না কেটে ১ বছর ৮ মাস ধরে সরকারি বাসা ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। তিনি উপজেলা পরিষদের বাসা বরাদ্দ কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্বও পালন করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মো. জাকির হোসেন মিয়া ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নাজিরপুরে উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই উপজেলা পরিষদ চত্বরে গেজেটেড কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত সরকারি বাসভবনের দ্বিতীয় তলার পূর্বপাশের ফ্লাটে তিনি স্বপরিবারে বসবাস শুরু করেন। জাকির হোসেন মিয়ার মূল বেতন ৩১ হাজার ৯শ’ ৮০ টাকা। বাসাভাড়া ওই বেতনের ৪০ শতাংশ। সে হিসেবে প্রতি মাসে ভাড়া হয় ১২ হাজার ৭শ’ ৯২ টাকা। নিয়ম মতে, প্রতি মাসে বাসাভাড়ার টাকা কেটে বেতন উত্তোলন করতে হয়। কিন্তু যোগদানের পর থেকে মে মাস পর্যন্ত তিনি বেতন থেকে বাসা ভাড়ার টাকা কর্তন না করে উল্টো বাড়ি ভাড়া ভাতা বাবদ প্রতি মাসে আরও ৬ হাজার ২শ’ ৮০ টাকা উত্তোলন করে আসছেন। ১ বছর ৮ মাসে তিনি বাসা ভাড়া বাবদ সরকারি আড়াই লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছেন। উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীর বাসা ভাড়া বেতন থেকে কেটে না রাখার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, হিসাবরক্ষণ কার্যালয় থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাসা ভাড়া উপজেলা পরিষদের নির্দিষ্ট হিসাব নম্বরের অনুকূলে ব্যাংকে জমা করা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘প্রতি মাসে বেতন থেকে বাসা ভাড়া দিচ্ছি। অথচ এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ার (প্রকৌশলী) ভাড়া দিচ্ছেন না। বাসা বরাদ্দ কমিটির সদস্য সচিব হওয়ায় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।’ অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন মিয়া বলেন, গেজেটেড কোয়ার্টার ভবনটি উপজেলা পরিষদের সভায় ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণা করে প্রতি কক্ষ ১ হাজার ২শ’ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া কোষগারের জমা দিয়ে স্বপরিবারে বসবাস করে আসছি। তবে তার বেতন বিলে নিজ হাতে লেখা সরকারি বাসা ব্যবহার না করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। গেজেটেড কোয়ার্টার ভবনটি উপজেলা পরিষদ কর্তৃক ব্যবহারের অনুপযোগী ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তবিবুর রহমান বলেন, ভবন অব্যবহার্য ঘোষণার ক্ষমতা উপজেলা পরিষদের নেই। তবে আমার জানা মতে, ওই ভবনটি অব্যবহার্য ঘোষণা হয়নি। বাসা বরাদ্দ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সেলিনা বেগম বলেন, আমি সদ্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। তবে উপজেলা প্রকৌশলীর সরকারি বাসা ব্যবহার করে ভাড়া না দেয়ার ঘটনাটি শুনেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাড়া না দিয়ে আড়াই লক্ষাধিক সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ