Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষককে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা : শিক্ষার্থী রিমান্ডে

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউএসটিসি অফিস থেকে শিক্ষককে টেনে বের করে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসানকে দু’দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার শুনানি শেষে মহানগর হাকিম আল ইমরান খান এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। খুলশী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

এ তথ্য জানিয়ে নগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি নিজেই শুনানিতে অংশ নিয়েছি। আদালতকে বলেছি শিক্ষক মা-বাবার মত। যে শিক্ষার্থী শিক্ষকের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে সে তার বাবা-মাকেও মারতে পারে। তার কাছে কেউই নিরাপদ নয়। সে কেন এ জঘন্য কাজ করেছে, এ পরিকল্পনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত এসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি। তিনি বলেন, আদালত শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

খুলশি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় দায়ের মামলায় অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ইউএসটিসির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দিলীপ কুমার বড়ুয়া বাদি হয়ে নগরীর খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেন। মাহমুদুল হাসান (২২) ইউএসটিসি’র ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।

মঙ্গলবার শিক্ষক মাসুদ মাহমুদকে অফিস থেকে টেনে বের করে রাস্তায় নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে লাঞ্ছিত করা হয়। এরপর ওই শিক্ষার্থীরাই আবার নগরীর খুলশীতে ইউএসটিসি ক্যাম্পাসের সামনে প্রায় একঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদ ইউএসটিসি’র ইংরেজি বিভাগের উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরের পর তিনি ইউএসটিসিতে যোগ দিয়েছেন। এ ঘটনায় ইউএসটিসি কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত কমিটি আজ বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু করবেন।

এদিকে অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইংরেজি বিভাগের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। চবির ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাইনুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য দেন বিভাগের শিক্ষকরা। তারা অধ্যাপক মাসুদ মাহমুদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার নিন্দা করেন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান। বক্তারা বলেন, প্রবীণ এ শিক্ষাবিদের ওপর আক্রমণ মানে সকল শিক্ষককের ওপর আক্রমণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিক্ষককে পুড়িয়ে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ