রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা
নওগাঁ সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আজ। উপজেলা বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে দ্বিমুখী এবং ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রার্থীরা একে অপরকে নির্বাচনী বিধি লংঘনের অভিযোগ করছেন। তবে সবাই শতভাগ আশাবাদী নির্বাচনী জয়ের। ১২টি ইউনিয়নে মোট ভোটার ১ লাখ ৯৫ হাজার ২৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৯৭ হাজার ২৯৫ জন ও নারী ভোটার ৯৭ হাজার ৯৮৩ জন। মোট কেন্দ্র ১১১টি এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ৩৭টি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রশাসন সব রকমের পদক্ষেপ ইতি মধ্যেই গ্রহণ করেছে। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫২ জন, সদস্য পদে ৪১৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শৈলগাছী ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর সরদার, বিএনপি মনোনীত আত্তাব উদ্দীন, স্বতন্ত্র জুলকার নাইন, জাপা মনোনীত মমতাজ হোসেন। তবে এখানে ভোটাররা বলছেন, এই ইউনিয়নে নৌকা ও ধানের শীষের দ্বিমুখী লড়াই হবে। বোয়ালিয়া ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার আলহাজ হাছানুর আল মামুন, বিএনপি মনোনীত বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) এডঃ এসএম শামীম আছাদ বেলাল। তবে এখানে ভোটাররা বলছেন, এই ইউনিয়নে বেশী সুবিধাজনক স্থানে আছে নৌকা। এখানে কোন লড়াই হবে না নৌকার সাথে। চন্ডিপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন। তারা হলেন সরকার দলীয় প্রার্থী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি বেদারুল ইসলাম, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাহার আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান (বিএনপির বিদ্রোহী) কাজী আব্দুল করিম, স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান হামিদুল ইসলাম ও জামিলুর রহমান। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সুবিধাজনক স্থানে আছে। এখানে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে জানান ভোটাররা। তিলকপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন। তারা হলেন সরকার দলীয় প্রার্থী, ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিগত নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত প্রার্থী রেজাউল করিম, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) আলমগীর কবির ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুন নবী আলম। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সুবিধাজনক স্থানে আছে এই ইউনিয়নেও বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকায় নৌকা সুবিধাজনত স্থানে আছে বলে জানান ভোটাররা। হাপানিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন। তারা হলেন সরকারদলীয় প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও অত্যন্ত সাদামাটা মানুষ বলে পরিচিত আফছার আলী, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান মোস্তাক আহমেদ রাজা, স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) আব্দুল বাকিদ পাভেল ও আবুল হোসেন আকন্দ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আশরাফুল ইসলাম। এই ইউনিয়নে বিএনপির দুই প্রার্থী আর আ.লীগের একজন। এখানেও আ.লীগ সুবিধাজনক স্থানে আছে। বিএনপি ও আ‘লীগের দ্বিমুখী লড়াই হবে বলে জানান ভোটাররা। বর্ষাইল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন। তারা হলেন সরকারদলীয় প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুজ্জোহা ঘুটু, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও অল্প ভোটের ব্যবধানে বিগত নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আব্দুল মান্নান, স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) ও সদর থানা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক স,ম,আ আল কাফী তুহীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমান। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের অবস্থান সবচেয়ে ভাল তবে আ.লীগ বিএনপির মধ্যে লড়াই হবে বলে জানান ভোটাররা। বলিহার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান আফতাব আলী, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সরদার মোঃ হাতেম আলী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মল্লিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজামাল হোসাইন। এই ইউনিয়নে বিএনপি সুবিধাজনক স্থানে আছে। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর সাথে লড়াই হবে বলে জানান ভোটাররা। হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন। তারা হলেন, আ.লীগের দলীয় প্রার্থী ও ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুল জলিল সুইট, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জালাল হোসেন, স্বতন্ত্র ও একমাত্র নারী প্রার্থী মাহবুবা আখতার, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল গফুর ও হাবিল মোল্লা। এই ইউনিয়নে বিএনপির অবস্থান সবচেয়ে ভাল, তবে বিএনপি ও আ.লীগের মধ্যে লড়াই হবে বলে জানান ভোটাররা। কীর্ত্তিপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন। তারা হলেন সরকার দলীয় প্রার্থী, ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আব্দুস সামাদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) ও বর্তমান চেয়ারম্যান আলগীর কবির বিদ্যুৎ, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী মাহমুদ ও রেজাউল হক। এই ইউনিয়নে বিএনপির একাধিক প্রার্থী থাকায় আ.লীগের অবস্থান সবচেয়ে ভাল বলে জানান ভোটাররা। বক্তারপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জন। তারা হলেন সরকার দলীয় প্রার্থী ও ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল আলম, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সারওয়ার কামাল, বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান এডঃ শহীদ হাসান সিদ্দিকী স্বপন, স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) আতাউল হক ও গোলাম মোস্তাফা। এই ইউনিয়নে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে জানান ভোটাররা। শিকারপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন। তারা হলেন সরকার দলীয় প্রার্থী জাহিদুর রহমান, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান নুরুল্লাহ বাবু, স্বতন্ত্র প্রার্থী (আ.লীগের বিদ্রোহী) ময়নুল হক। এই ইউনিয়নে বিএনপির অবস্থান ভাল। তবে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে জানান ভোটাররা। দুবলহাটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৪ জন। তারা হলেন সরকারদলীয় প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও বিগত নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আনিছুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী শিবন্দ্রেলাল রায় চৌধূরী ও জাসদের প্রার্থী আসাদ আলী। এই ইউনিয়নে দ্বিমুখী লড়াই হবে বলে জানান ভোটাররা। তবে ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হলে নির্বাচন হলে এই উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে সমানে সমান আ.লীগ ও বিএনপি আসন পাইতে পারে বলে জানান উপজেলাবাসীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।