মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ধারাবাহিক বিক্ষোভের মধ্যে হংকং-এর পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিক্ষোভকারীদের আচরণকে অগ্রহণযোগ্য আখ্যা দিয়েছে বেইজিং। চীন সরকারের হংকং বিষয়ক দূত তার বিবৃতিতে বলেন, এই ঘটনা মারাত্মক বেআইনি কর্মকান্ড এবং আইনের শাসনের প্রতি অবজ্ঞার শামিল। বিতর্কিত একটি প্রত্যার্পণ বিলকে কেন্দ্র করে কয়েক সপ্তাহ ধরেই হংকং-এ বিক্ষোভ করছেন লাখ লাখ মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার ফের উত্তাল হয়ে ওঠে হংকং। তীব্র বিক্ষোভের মধ্যেই কয়েকশ তরুণের একটি দল অঞ্চলটির পার্লামেন্ট ভবনের কাচ ভেঙে অধিবেশন কক্ষে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা স্প্রে-পেইন্ট দিয়ে কক্ষের দেয়ালে নানা বার্তা লিখে দেয়। চীন সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়তে কিছু উগ্রপন্থী অতিরিক্ত সহিংসতা ব্যবহার করেছে। আর বড় আকারের ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়েছে। এটা বিস্ময়কর, মর্মান্তিক আর ক্ষোভ সৃষ্টিকর। এই ধরনের সহিংস কর্মকান্ড হংকং-এর আইনের শাসনের ওপর চরম চ্যালেঞ্জ এবং হংকং-এর শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি মারাত্মক অবজ্ঞা। যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। হংকং চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও ২০৪৭ সাল অবধি অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসনের নিশ্চয়তা দিয়েছে দেশটি। গত মাসেই চীনপন্থী এক বিল নিয়েও উত্তাল হয়ে ওঠে হংকং। মূলত চীনে ও তাইওয়ানে অপরাধী প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত একটি বিলের বিপক্ষে এই গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীদের মূল ক্ষোভ চীনের সঙ্গে সমঝোতা নিয়ে। বেইজিংয়ের দুর্বল আইন এবং মানবাধিকার রেকর্ডের কারণে সেখানে কাউকে ফেরত পাঠানো নিরাপদ মনে করছেন না হংকংয়ের সাধারণ মানুষ। তারা মনে করছেন, বিলটি পাস হলে তা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চীনের হস্তক্ষেপের সুযোগ বাড়িয়ে দেবে। আন্দোলনের মুখে হংকং-এর কর্তৃপক্ষ বিলটি স্থগিত করলেও বিক্ষোভকারীরা চাইছেন বিলটি সম্পূর্ণ রুপে প্রত্যাহার করা হোক। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।