রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নজির হোসেন নজু, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে
নীলফামারীর সৈয়দপুরের ৫টি ইউনিয়নে ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আজ। এরই মধ্যে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় উৎসবমুখর এই নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা ও শঙ্কা দেখা দিয়েছে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। শেষ মুহূর্তে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের দলে টানার প্রতিযোগিতায় প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান জিকো আহমেদ (নৌকা), রেজাইল করিম লোকমান (ধানের শীষ), এমদাদুল হক (লাঙ্গল), আ.লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার সরকার (মোটরসাইকেল) ও ফয়েজ আহমেদ (টেলিফোন), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম (চশমা), মমিনুর রহমান (ঘোড়া) ও নূর আলম ভরসা (আনারস) প্রতীকে লড়ছেন। ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৭ হাজার ৮১৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ৯২২ ও নারী ভোটার ৮ হাজার ৮৯৭ জন। এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার সরকার (মোটরসাইকেল), স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম (চশমা) ও মমিনুর রহমানের (ঘোড়া) সাথে। উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সাবেক চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম ভুতুলু (মোটরসাইকেল), আনিছুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ), কামরুন নাহার ইরা (হাতুরী), লানছু হাসান চৌধুরী (গোলাপ ফুল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে কাজী মো. জিয়াউর রহমান (অটোরিকশা), তাজুল ইসলাম (ঘোড়া) এবং সামসুল হক (আনারস) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ২৫৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০ হাজার ৬৮২ ও নারী ভোটার ১০ হাজার ৫৭৩ জন। এখানে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এনামুল হক চৌধুরী (নৌকা), সাবেক চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম ভুতুলু (মোটরসাইকেল) ও লানছু হাসান চৌধুরীর (গোলাপ ফুল) সাথে। উপজেলার বাঙ্গালিপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ডা. শাহাজাদা সরকার (নৌকা), আ.লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রণোবেশ চন্দ্র বাগচী (আনারস), সাইদুল হক বাবলু (ধানের শীষ) ও কামাল আহমেদ (লাঙ্গল) প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মাঠে নেমেছেন। ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৫৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ৬৯৯ ও নারী ভোটার ৬ হাজার ৮৯৫ জন। এখানেও নৌকা প্রতীকের সাথে আনারস ও ধানের শীষ প্রতীকের ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সরকার (ঘোড়া), হেলাল চৌধুরী (নৌকা), রফিকুল ইসলাম (ধানের শীষ), জহির উদ্দিন (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আজাহার আলী সরকার (মোটরসাইকেল), মোন্নাফ আলী (আনারস) ও হাসিবুর রহমান চৌধুরী (চশমা) নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এই ইউনিয়নে ভোটার সবচেয়ে বেশি। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৬ হাজার ৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৩ হাজার ১৫৭ ও নারী ভোটার ১২ হাজার ৮৩৭ জন। এখানে ঘোড়ার সাথে নৌকা ও ধানের শীষের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা। উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জুয়েল চৌধুরী (আনারস), মাসুদ রানা পাইলট (নৌকা), লুৎফর রহমান সরকার (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাহাফুজ রানা (টেলিফোন) ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন। ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্য ১৪ হাজার ৮১৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৭২ ও নারী ভোটার ৭ হাজার ৭৪৬ জন। এই ইউনিয়নে মূলত লড়াই হবে নৌকা প্রতীকের মাসুদ রানা পাইলটের সাথে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল চৌধুরীর সাথে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।