বর্ষপূর্তির কবিতা
ভালোবাসো মন খুলেআ ল ম শা ম সবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে চালবর্ষার বৃষ্টিতে ডুবে গেছে ঘরভাদ্রের বন্যায় ভেসে গেছে বাড়ি।তুমি শুধু একা।ভয় শংকায় হারিয়ে গেছে
গোলাম আশরাফ খান উজ্জ্বল
বাংলার সেন শাসনের অবসান হলে মুসলিম সুলতানরা দেশ শাসন করেন। মুসলিম শাসকরা যখনই কোনো প্রদেশ অঞ্চল বা স্থান জয় করেছেন, তখনই তারা সেখানে মসজিদ নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশে সুলতানি আমলের বেশ কিছু মসজিদ এখনও কালের সাক্ষী হয়ে নিজেদের অস্তিত্ব ঘোষণা করছে। এসব মসজিদ হলো ষাটগম্বুজ মসজিদ, ছোট সোনামসজিদ, আদম শহীদ মসজিদ, গোয়ালদী মসজিদসহ আরো অনেক মসজিদ। নি¤েœ সংক্ষিপ্ত আকারে এর কয়েকটি মসজিদ সম্পর্কে আলোকপাত করা হলোÑ
ষাটগম্বুজ মসিজদ : বাংলাদেশের মসজিদের ইতিহাসে ষাটগম্বুজ মসজিদ একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। শৈল্পিক স্থাপনা হিসেবে বিশ্ব মসজিদ শিল্পে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ অনন্য বৈশিষ্ট্যের বাস্তব প্রতীক। যুগ যুগ ধরে এ মসজিদটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে। মসজিদটি নির্মাণের সঠিক কোনো সাল বা তারিখ ঐতিহাসিকগণ দিতে পারেননি শিলালিপির অভাবে। বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদটি ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে আর.সি. স্ট্রানডেল পর্যবেক্ষণ করেছেন। ঐতিহাসিক আহমেদ হাসান দানী, আ ফ ম আব্দুল জলীল, আ ক ম জাকারিয়া এ মসজিদটি নিয়ে বিভিন্ন গ্রন্থে ও প্রবন্ধে বিস্তর আলোচনা করেছেন। ভূমি নকশানুযায়ী নেভে বা মধ্যভাগে ৭টি চৌচালা ছাদ এবং উভয় পাশে ৩৫টি করে মোট ৭০টি গম্বুজ। সব মিলিয়ে গম্বুজের সংখ্যা (৭০+৭) দাঁড়ায় ৭৭টি। বিশালাকার ঘোড়া দীঘির পাশে এ স্থাপত্য ইমারতটি অবস্থিত। মসজিদটির অভ্যন্তরে ৬০টি স্তম্ভ রয়েছে। খুব সম্ভবত এ ষাটটি স্তম্ভ হতে ষাটগম্বুজ নামটি এসেছে। এ মসজিদটি খুব সম্ভবত সুলতান নাসির উদ্দিন মাহমুদের (১৪৪২-১৪৬০) শাসনামলে নির্মিত। বাংলাদেশের মুসলিম স্থাপত্য পুরাকীর্তির সর্বাপেক্ষা চমৎকার ও উৎকৃষ্ট নিদর্শন হচ্ছে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ। উত্তর-দক্ষিণে মসজিদটির প্রাচীরের প্রশস্থতা প্রায় ৯ ফুট। গম্বুজগুলো ছাদ থেকে ১৫ ফুট উঁচু। চার কোণের গোলাকৃতির বরুজ, ছাদ সুবিস্তীর্ণ, বক্রাকার কার্নিশ আয়তকার ফ্রেমে এটি আবদ্ধ। বাংলাদেশের আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রেখে কার্নিশ বক্রাকার করা হয়েছে। মসজিদটির উত্তর-দক্ষিণে ৩৫টি করে যে কক্ষ রয়েছে যা গম্বুজ দ্বারা আবৃত্ত। ৬০টি পাথরের স্তম্ভ যার ওপর মসজিদটি দাঁড়িয়ে আছে। তার একটি হতে অন্যটির দূরত্ব ১৩ ফুট। নেভ বা মধ্য ভাগটি ১৬ ফুট ৬ ইঞ্চি। এ বিখ্যাত মসজিদের পশ্চিম দেয়ালে ১০টি মেহেরাব রয়েছে। এত মেহেরাব অন্যসব মসজিদে দেখা যায় না। মসজিদের প্রবেশের প্রধান খিলান পাথরটির উচ্চতা ৯ ফুট ৭ ইঞ্চি, একটির ৬ ফুট ২ ইঞ্চি, অন্যটির ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি। পূর্ব দিকের দেয়ালে ১১টিসহ মসজিদে দরজা রয়েছে মোট ২৫টি। সামনের দুটো বরুজে এক সময় হয়তো আলো জ্বালানো হতো। লাল পোড়া ইট দিয়ে তৈরি এ মসজিদের দেয়াল ৯ ফুট প্রশস্থ। এ বিশ্বখ্যাত মসজিদটির কোনো লিপি মুদ্রা নেই। তবে অনুমান করা হয় খানজাহান আলী বাগেরহাটে এ মসজিদ নির্মাণ করেন। খানজাহানের সমাধি সৌধের লিপিতে ৮৬৩ হিজরির ২৬ জিলহজ মাস লেখা রয়েছে। অর্থাৎ হযরত খানজাহান আলী (রহ.) ২৫ অক্টোবর ১৪৫৯ খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন। কোনো কোনো ঐতিহাসিকের ধারণা, বাগেরহাটে বা সুন্দরবন অঞ্চলে হযরত খানজাহান আলী (রহ.) জীবদ্দশাতেই মসজিদটি নির্মাণ করেন। সে কারণেই মসজিদটির নির্মাণকাল (১৪৫৯ খ্রি.) আগে বলেই অনেকের ধারণা। বাংলাদেশ সরকার ‘ব্যাংকের’ ২০ টাকা নোটে এ মসজিদের ছবি ছেপে নোট প্রকাশ করেছে। ১৯০৪ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভারতীয় প্রতœতত্ত্ব বিভাগ, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান প্রতœতত্ত্ব বিভাগ এবং ১৯৭১ সাল থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশ প্রতœতত্ত্ব বিভাগ এ মসজিদটি দেখাশুনা করে আসছে। বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের এক উৎকৃষ্ট সাক্ষী হয়ে এগিয়ে চলছে মহাকালের দিকে।
বাবা আদম মসজিদ : মুন্সীগঞ্জ জেলার প্রাচীন নাম বিক্রমপুর। বিক্রমপুর ছিল বাংলার প্রাচীন রাজধানী। বৌদ্ধ ও হিন্দু যুগে আরব হতে অনেক সুফী দরবেশ ইসলাম প্রচারের জন্য মুন্সীগঞ্জ বিক্রমপুরে আগমন করেন। তাদেরই একজন হলেন বাবা আদম শহীদ (রহ.)। ঝযধয ঐঁসধুধহ কধনরৎ “ঞযব ইধঃঃষব ড়ভ কধহধর ঈযধহমঁব” গ্রন্থে বলেন, “বাবা আদম শহীদ (রহ.) আরবের তায়েফ নগরীতে বাবার মৃত্যুর পর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ-ভারতের বিভিন্ন স্থানে খানকাহ নির্মাণ করে ইসলাম প্রচার করেন। বাবা আদম শহীদ (রহ.) ১১৪২ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে আসেন। সেখান থেকে ১১৫২ খ্রিস্টাব্দে মুন্সীগঞ্জ সদরের প্রাচীন রামপাল নগরে আসেন। মুন্সীগঞ্জ এলাকার কপাল দুয়ার, মানিকেশ্বর ও ধীপুরে তিনটি খানকাহ নির্মাণ করে ইসলাম প্রচার করেন।” এ তিনটি খানকায় যথাক্রমে সৈয়দ জোবায়ের (রহ.), শহীদ মুয়াবিয়ান আল বসরী (রহ.) ও শেখ মখদুম আল মুয়াস সিস (রহ.) দায়িত্বে থাকেন। দরগাহ বাড়িতে বাবা আদম শহীদ (রহ.) ১১৭৩ খ্রি. খানকাহ নির্মাণ করেন। অর্থাৎ রাজা বলাল সেনের বাড়ির চারপাশেই বাবা আদমের খানকাহ নির্মিত হয়। মুসলমান সুফী ধর্মীয় তৎপরতায় বলাল সেন রুষ্ট হন। মুন্সীগঞ্জে দিন দিন মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে রাজা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন এবং যুদ্ধ বাধে। এদিকে ১১৭৪ খ্রিস্টাব্দে বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর (রহ.) ৮ম মৃত্যুবার্ষিকীতে আব্দুল্লাহপুরে গরু জবেহ করা হয়। এতে রাজা বলাল সেন রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে ওই খানকার দায়িত্বে থাকা মুয়াবিয়ান আল বসরীকে অন্ধকূপে নিক্ষেপ করে শহীদ করেন। এতে বাংলার বিভিন্ন স্থানে থাকা সুফীরা রাজা বলাল সেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ১১৭৮ সালের ১০-২০ সেপ্টেম্বর এই দশ দিন প্রচ- যুদ্ধ হয় বলাল সেনের সাথে। ধর্ম যুদ্ধে বাবা আদম শহীদ হন। রিকাবীবাজার দিগিরপাড় সড়কের দরগাবাড়ী নামক স্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
বাবা আদম (রহ.) শহীদ হওয়ার ৩০০ বছর পর তার স্মৃতি রক্ষার্থে বাংলার সুলতান জালাল উদ্দিন আবু জাফর শাহের পুত্র বিক্রমপুরের শাসক মহান মালিক কাফুরশাহ ছয়গম্বুজবিশিষ্ট একটি মসজিদ নির্মাণ করেন। তার মাজারের পশ্চিম-উত্তর পাশে ১৪৭৯ খ্রিস্টাব্দে এ মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৪৮৩ খ্রিস্টাব্দে সুলতান ফাতশাহের শাসনামলে নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়। মসজিদটির উত্তর-দক্ষিণে ৪৩ ফুট ও পূর্ব-পশ্চিমে ৩৬ ফুট। এতে ৩টি মেহরাব রয়েছে। উচ্চতা প্রায় ১৮ ফুট। প্রবেশের জন্য ৩টি দরজাও রয়েছে। মসজিদটি নির্মাণের সময় লাল পোড়া মাটির ১০ ইঞ্চি, ৭ ইঞ্চি, ৬ ইঞ্চি ও ৫ ইঞ্চি মাপের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। ভিতরে দুটি স্তম্ভ রয়েছে। প্রবেশের মূল দরজার ঠিক উপরে আরবি ভাষায় একটি শিলালিপি রয়েছে। যার বাংলা অর্থ দাড়ায়Ñ “আল্লাহতায়ালা বলেছেন, নিশ্চয়ই সব মসজিদ একমাত্র আল্লাহরই। অতএব, তোমরা আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে অংশীদার করো না। মহানবী (সা.) বলেছেন, দুনিয়াতে যিনি একটি মসজিদ নির্মাণ করেন, আল্লাহতায়ালা বেহেশতে তার জন্য একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন। সুলতান আবদুল মুজাফফর ফতেহ শাহের আমলে মহান রাজা মালিক কাফুর ৮৮৮ হিজরির রজব মাসের মাঝামাঝি তারিখে এ জামে মসজিদ নির্মাণ করেন।” মসজিদটি শুধু মুন্সীগঞ্জেরই নয়, সমগ্র ভারত বর্ষের মধ্যে একটি দর্শনীয় স্থান। ১৯৯১-১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ মসজিদের ছবি সম্বলিত ডাকটিকিট প্রকাশ করে। বাবা আদম মসজিদটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
গোয়ালদী সুলতানি মসজিদ : বাংলার মুসলিম সুলতানদের অন্যতম রাজধানী সোনারগাঁ। এই সোনারগাঁয়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে কত না ইতিহাস। মোগরাপাড়া, পানাম, গোয়ালদী ও মোয়াজ্জেমপুর। এ স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে অনেক ইতিহাস। অনেক ইতিহাসের মধ্যে একটি হলো গোয়ালদীর প্রাচীন মসজিদ। পানাম সিটি থেকে দুই কিলোমিটার পশ্চিমে গোয়ালদী সুলতানি মসজিদের অবস্থান। লিচু বাগানের ভেতর দিয়ে হেঁটে হেঁটে গেলাম বিখ্যাত এ মসজিদটি দেখতে। গোয়ালদী প্রাচীন মসজিদটির পূর্ব ও পশ্চিম পাশে রয়েছে দুটি পুকুর। মধ্যখানের উঁচু ভূমিতে মসজিদটির অবস্থান। এ প্রাচীন মসজিদটি ১৫ শাবান ৯২৫ হিজরিতে নির্মিত। যা ১২ আগস্ট ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ। সুলতান হোসাইন শাহের শাসনামলে মোল্লা হিজবর আকবর খান বা হাজবর আকবর খান গোয়ালদী মসজিদটি নির্মাণ করেন। এ মসজিদের নামাজের স্থানের আয়তন ৪.৯০ মিটারদ্ধ১.৬৫ মিটার। মসজিদের পশ্চিম দেয়ালে ৩টি করে রয়েছে মিহরাব। মধ্যখানের মিহরাবটি বড় ও পাথরের তৈরি। পূর্ব দেয়ালে ৩টি দরজা রয়েছে। মসজিদটি বর্গাকৃতির। মুনশী রহমান আলী তায়েশ তার গ্রন্থে মসজিদের ভিতরে পরিমাপ সাড়ে ১৬ বর্গফুট লিখেছেন। মসজিদের ছাদে একটি মাত্র গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের দেয়াল প্রায় ৫ ফুট চওড়া। মসজিদটির ৪ কোণে চারটি টারেট রয়েছে। পোড়া লাল ইট দিয়ে এ মসজিদটি তৈরি হয়েছিল। বর্তমানে মসজিদে আজান ও নামাজ উভয়ই বন্ধ রয়েছে। পাশে উত্তর দিকে বড় একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছে। মুসলমানরা সেখানেই নামাজ আদায় করেন। ঢাকা থেকে সোনারগাঁ বাসস্ট্যান্ড নেমে অটোবাইকে ১৫ টাকা করে প্রতিজন পানাম সিটি। সেখান থেকে রিকশায় বা হেঁটেও যাওয়া যায় গোয়ালদী মসজিদ।
ছোট সোনামসজিদ : বাংলাদেশের মসজিদের ইতিহাসে ছোট সোনামসজিদ বিশেষ একটি স্থান দখল করে আছে। মসজিদটি প্রাচীন গৌড় রাজ্যের অন্যতম মুসলিম নিদর্শন। গৌড় ছিল একসময় বাংলার স্বাধীন একটি রাজ্য। মুসলিম আমলে গৌড়-পান্ডুয়া মুসলিম বাংলার রাজধানী শহরে পরিণত হয়। মুসলিম শাসকরা ভারতের মালদহ হতে বগুড়া পর্যন্ত বিভিন্ন ইমারত ও অট্টালিকা নির্মাণ করেন। ছোট সোনামসজিদ সেসব নিদর্শনেরই একটি। মসজিদটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। বাংলার স্বাধীন সুলতান হোসেন শাহের রাজত্বকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শাসক (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রি.) ওয়ালী মোহাম্মদ সোনামসজিদ নির্মাণ করেন। নির্মাতা এ মসজিদের অলঙ্করণে সোনালি গিল্টার ব্যবহার করেছিলেন বিধায় মসজিদের নাম হয়েছে সোনামসজিদ। এ মসজিদের নামানুসারে সোনামসজিদ স্থলবন্দরের নাম হয়েছে। কারও কারও মতে মসজিদের গম্বুজ ও বাইরের দেয়ালে স্বর্ণের কারুকাজ ছিল বিধায় মসজিদের এই নামকরণ হয়েছিল। মসজিদ ঘরটির আয়তন উত্তর-দক্ষিণে ২৫.১ মিটার এবং পূর্ব-পশ্চিমে ১৫.৯ মিটার। মসজিদের দেয়াল ১.৭৮ মিটার পুরু। ইংরেজ ঐতিহাসিক কানিংহাম যখন মসজিদটি পরিদর্শন করেন তখন ১৫টি গম্বুজ ও খিলানগুলো গিল্ট করা দেখতে পান। গম্বুজের ভিতরে পোড়া মাটির অলঙ্করণ ছিল। মসজিদের ৪ কোণে বহুভুজাকৃতির চারটি টারেট এবং এর দক্ষিণ পাশে একটি পুকুর রয়েছে। এখানে মহিলাদের নামাজের জন্য রয়েছে আলাদা জায়গা। মসজিদের পশ্চিম দেয়ালে ৫টি পাথরের মিহরাব এবং পূর্ব দেয়ালে ৫টি দরজা রয়েছে। মসজিদটির দক্ষিণ ও উত্তর দিকের দেয়ালে রয়েছে তিনটি করে দরজা। মসজিদটির পাশে দুটি প্রাচীন কবর দেখা যায়। এর মধ্যে একটি নির্মাতা ওয়ালি মোহাম্মদের এবং অন্যটি পিতা আলীর। আমরা মসজিদটি দেখে দৃষ্টি ফেরাতে পারছিলাম না। এর ছাদে ৬টি করে গোলাকৃতির ১২টি গম্বুজ এবং ৩টি চৌচালা গম্বুজ দেখতে পাই। ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মসজিদটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। পশ্চিম দেয়ালের বেশির ভাগ অংশ ভেঙে যায়। পরে এটি মেরামত করা হয়। ছোট সোনামসজিদের কেন্দ্রীয় মেহরাবটি ইংরেজরা ইংল্যান্ডে নিয়ে যায়। মূল মেহরাবটি বর্তমানে স্কটল্যান্ডের এডিনবারা জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। ছোট সোনামসজিদটি বাংলার মুসলিম ইতিহাসের অনন্য ঐতিহ্য।
লেখক : সাংবাদিক, ইতিহাস গবেষক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।