নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় দলের জার্সিতে শিরোপা জয়ের অপেক্ষা আরও বাড়লো লিওনেল মেসির। কোপা আমেরিকার গত দুই আসরের ফাইনালে হতাশ হওয়ার পর এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের কাছে হেরে শেষ চার থেকেই বিদায় নিয়েছে তার নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনা।
বেলো হরিজন্তের মিনেইরাও স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে আসরের প্রথম সেমি-ফাইনালে লিওনেল স্কালোনির দলকে ২-০ গোলে হারায় স্বাগতিকরা। এক যুগ পর প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠলো আট বারের চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমার্ধে গোছানো আক্রমণে রবার্তো ফিরমিনোর বাড়ানো বলে দলকে এগিয়ে নেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। দ্বিতীয়ার্ধে ঠিক বিপরীত ভূমিকায় ব্যবধানে দ্বিগুণ করেন এই জুটি। প্রথমার্ধে সার্জিও আগুয়েরোকে গোলবঞ্চিত করে ক্রসবার, দ্বিতীয়ার্ধে মেসির শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।
শুরু থেকেই গতির ফুটবল খেলতে থাকে দুই দল। তবে মিডফিল্ডে কোনো দল আধিপত্য করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ভালো খেলেও জালের দেখা পায়নি ১৪বারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। দু’দলের খেলোয়াড়দের মাঝে কখনও কখনও ছড়িয়ে পড়ে শারীরিক উত্তেজনা।
শেষ আটে খেলা ভেনিজুয়েলা ম্যাচের একাদশের উপর আস্থা রাখেন আর্জেন্টিনা কোচ। তিতের দলে ছিল দুটি পরিবর্তন। অ্যালানের পরিবর্তে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মিডফিল্ডে ফেরেন কাসিমিরো। লেফট ব্যাকে ফিলিপে লুইসের জায়গা নেন অ্যালেক্স সান্দ্রো।
ম্যাচের ১২তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। মিডফিল্ডার পারিদেসের নেওয়া আচমকা দূরপাল্লার শট বারে বাতাস লাগিয়ে বেরিয়ে যায়।
১৯তম মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে ফিরমিনোর গড়ানো ক্রস গোল মুখ থেকে সহজ টোকায় জালে পাঠান জেুসস। গোলের উচ্ছ্বাসে গর্জে ওঠে হলুদে ঠাসা গ্যালারি।
৩০তম মিনিটে মেসির ফ্রি-কিকে লাফিয়ে হেড নেন আগুয়েরো। বল ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হলে হতাশ হতে হয় আর্জেন্টিনা সমর্থকদের।
দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে প্রথমবারের মত পোষ্টে শট রাখে আর্জেন্টিনা। মার্টিনেসের দুর্বল শট সহজেই প্রতিহত করেন গোলরক্ষক আলিসন।
চাপ বজায় রেখে সুযোগ তৈরি করে লা আলবাসিলেস্তেরা। এবার ৫৭তম মিনিটে পোষ্টে লেগে ফেরে মেসির বাঁ-পায়ের শট। ফিরতি বল দখলে নিয়ে গড়ানো ক্রসে বল বাড়ান গোলমুখে। কিন্তু তাতে টোকা দিতে পারেননি আগুয়েরো।
৬০তম মিনিটে মার্কাস আকুনার পরিবর্তে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে নামায় আর্জেন্টিনা। চার মিনিট পর ব্রাজিলের হয়ে মারকুইনহোসের বদলি নামেন জোয়াও মিরান্ডা।
৬৬তম মিনিটে ভালো পজিশনে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। মেসির শট সহজেই দখলে নেন আলিসন।
৭১তম মিনিটে প্রতিপক্ষের দূর্বল রক্ষণের সুযোগে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ব্রাজিল। দারুণ দক্ষতায় বাঁ-প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে গোলমুখে ক্রস দেন জেসুস। সুযোগের অপেক্ষায় থাকা ফিরমিনো ডান পায়ের আলতো টোকায় দলের ফাইনাল নিশ্চিত করেন।
বাকি সময়ে চাপ বাড়িয়ে রেখেও ব্রাজিলের অটুট রক্ষন ভাঙতে পারেনি আর্জেন্টিনা। এ পর্যন্ত কোনো গোল হজম না করেই ফাইনাল উঠলো ব্রাজিল।
বৃহস্পতিবার একই সময়ে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে চিলি ও পেরু। বিজয়ী দল খেলবে রোববার রিও ডি জেনেইরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে হতে যাওয়া ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে। আর পরাজিত দল রোববার আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলবে তৃতীয় স্থান নির্ধারনী ম্যাচে।
আর্জেন্টিনা ০ : ২ ব্রাজিল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।