Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কেরানীগঞ্জে আ’লীগের পথের কাটা বিদ্রোহী প্রার্থী

প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সহিংসতার আশংকয় ভোটাররা
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার কেরানীগঞ্জে শনিবার শাক্তা ইউপি নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। এ নির্বাচনে পেশী শক্তি ব্যবহার হওয়ার বেশি আশঙ্কা রয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে হিজলা এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন মো. ইউসুফ খানের নির্বাচনী গণসংযোগে হামলা গাড়ি ভাঙচুরে ঘটনায় কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পর ভোটারদের মধ্যে আরো আতংক বিরাজ করছে। নির্বাচনের দিন সহিংসতার আশঙ্কা করছেন সাধারণ ভোটাররা। দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মার্চ ১১টি ইউপি নির্বাচনে অনেক ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষোভের প্রভাব শাক্তা ইউপি নির্বাচনে পরার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয় ভোটাররা জানিয়েছেন। শাক্তা ইউপিতে রাত পোহালেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহউদ্দিন লিটন। আরেক সাবেক ছাত্র নেতা লায়ন ইউসুফ খান আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। বর্তমান বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান হাজী সুলতান আহমেদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুল হক মিজানকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন থেকে মো. সাইফুল ইসলাম হাত পাখা নিয়ে নির্বাচন করলেও তাকে এলাকায় গণসংযোগ করতে দেখা যায়নি। মধ্যেরচর এলাকায় ইসলামী আন্দোলন ও আওয়ামী লীগের মেম্বারের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহউদ্দিন লিটনের জন্য পথের কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে লায়ন ইউসুফ খান। স্বতন্ত্র প্রার্থী লায়ন ইউসুফ খান আনারস প্রতীক নিয়ে সারা শাক্তা ইউনিয়নে চসে বেড়াচ্ছেন। চাপের মুখে বসে নেই বিএনপির প্রার্থী মিজানুল হক মিজান।
নাম না বলার শর্তে এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, শাক্তা ইউনিয়নের নির্বাচন ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভবনা বেশি। প্রচরণা ও ভোটের হিসেব নিকেসে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী লায়ন ইউসুফ খান এগিয়ে রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহউদ্দিন লিটনের অবস্থান নিয়ে চিন্তিত আওয়ামী লীগ। তবে কোনোভাবেই ছাড় দিতে চাচ্ছে না আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহউদ্দিন লিটন। জনশ্রুতি রয়েছে যেভাবেই হোক নির্বাচনে তিনি জয় হওয়ার সর্বত্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে সেক্ষেত্রে বিএনপির মিজানুল হক মিজান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী লায়ন ইউসুফ খানের মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভবনা বেশি। এদিকে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী লায়ন ইউসুফ খান গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন, তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। সালাহউদ্দিন লিটনের লোকজন তার পোস্টার ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা ও নির্বাচনী গণসংযোগে হামলা চালিয়েছে। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করেন। অন্যদিকে, এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সালাহউদ্দিন লিটন বলেন, তার লোকজন ইউসুফ খানের পোস্টার ছিড়েনি। আমি ভোটের মাধ্যমে জয়ী হতে চাই। উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. বশিরউদ্দিন বলেন, শাক্তা ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে তার কাছে অভিযোগের পাহাড় হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে যা কিছু করা দরকার, তা করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কেরানীগঞ্জে আ’লীগের পথের কাটা বিদ্রোহী প্রার্থী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ