Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বর্ণবিদ্বেষের শিকার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ভোটের ময়দানে ফের বর্ণবিদ্বেষের ঝড় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। গত বৃহস্পতিবার ডেমোক্র্যাটদের বিতর্কসভায় দেশের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বর্ণবিদ্বেষ প্রসঙ্গে একহাত নিয়েছিলেন হ্যারিস। আর রাতারাতি সেটাই ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়ায় ক্যালিফর্নিয়ার সিনেটরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে, ভোটের বাজারে ফায়দা তুলতে নিজেকে আফ্রো-আমেরিকান প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন হ্যারিস। যা তিনি নন। আলি অ্যালেকজান্ডার নামে এক চরম ডানপন্থী নেটিজেন প্রথম খোঁচাটা দেন টুইটারে। হ্যারিসের মা ভারতীয়, আর বাবা জামাইকান। তাই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর দৌড়ে শামিল এই ডেমোক্র্যাট নেত্রী ‘মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ’ নয় বলে তাকে ‘অযোগ্য’ তকমা দিয়ে আলি অ্যালেকজান্ডার লেখেন, ‘আপনি কালো, কিন্তু ততটাও কালো নন। আপনি মার্কিন নন, তাই ভোটে লড়ারও অধিকার নেই।’

হোয়াইট হাউসের দৌড়ে নেমে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকেও এমন বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল ওবামাকে। সেই এক প্রসঙ্গে এ বার সোশ্যাল মিডিয়ায় লাঞ্ছিত হতে হল ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত রিপাবলিকান সেনেটর হ্যারিসকেও। তাকে নিশানায় রেখে বর্ণবিদ্বেষম‚লক একটি টুইটে সায় দিতে দেখা গেল খোদ জুনিয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।

সরাসরি মুখ না-খুললেও, এ নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি প্রেসিডেন্ট-পুত্র জুনিয়র ট্রাম্প। আলির টুইট রিটুইট করে প্রেসিডেন্ট-পুত্র লেখেন, ‘আচ্ছা, তাই নাকি।’ যেন তিনি জানতেনই না হ্যারিসের বংশপরিচয়! পরে চাপের মুখে অবশ্য সেই টুইট মুছে ফেলেন তিনি। উত্তেজনার পারদ তবু চড়ছেই। পাল্টা আসরে নামলেন ক্ষুব্ধ ডেমোক্র্যাটরাও। বিষয়টি নিয়ে প্রথম হ্যারিসের পাশে দাঁড়ান ম্যাসাচুসেটসের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন। তার কথায়, ‘হ্যারিসের বিরুদ্ধে এই আক্রমণ জঘন্য ও বর্ণবিদ্বেষমূলক।’ তিনি এর প্রতিবাদের ডাক দিতেই পর-পর মুখ খুলতে শুরু করেন সিনেটর করি বুকার, অ্যামি ক্লবুচারের মতো এক ঝাঁক ডেমোক্র্যাট নেতা-নেত্রী। বাইডেনও বলেন, ‘আমেরিকায় বর্ণবিদ্বেষের কোনও জায়গা নেই।’

বাইডেন বললেও, আমেরিকায় বর্ণবিদ্বেষের বাড়াবাড়ি দীর্ঘদিনের। ভোটের ময়দানেই হ্যারিসকে এই নোংরা আক্রমণের জবাব দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন নেত্রীর প্রচার ম্যানেজার লিলি অ্যাডামস। তার কথায়, ‘এমন আক্রমণ তো বারাক ওবামাকে রুখতেও হয়েছিল। এ বারও এমন কৌশল বিফলে যাবে।’ সূত্র : ইয়াহু নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ