বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আমদানি করা বিপুলসংখ্যক জিপিএস ট্র্যাকার জব্দ করা হয়েছে। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে এসব মোবাইল এক্সেসরিজ আনা হয়েছে। বিমানবন্দরের এয়ারফ্রেইট ওয়্যারহাউস থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্পর্শকাতর জিপিএস ট্র্যাকারগুলো জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। গতকাল এ বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে মহাপরিচালক ড. মইনুল খান সাংবাদিকদের বলেন, একটু বেখেয়াল হলেন তো, চুরি হয়ে গেল লাখ বা কোটি টাকার গাড়ি। একটি মাত্র ডিভাইস পারে আপনার মূল্যবান গাড়িটি চুরি হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে। প্রয়োজনে কোন গাড়ি নিমিষেই নজরদারি করতে পারবেন। জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) ভেহিক্যাল ট্র্যাকার ডিভাইস ব্যবহার করে সম্ভব। তবে বাংলাদেশে ভাল’র চেয়ে খারাপ উদ্দেশ্যেই বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে স্পর্শকাতর এ প্রযুক্তি। রাজস্ব বৃদ্ধি নয়, নিরাপত্তার জন্যও হুমকি রয়েছে। সেজন্য ‘স্পর্শকাতর’ এ ডিভাইস আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি)’র। মোবাইল কাভারসহ কমার্শিয়াল দুটি কার্টনের মধ্যে ছিল ২৫ থেকে ২৬ ধরনের মোবাইল এক্সেসরিজ পণ্য। এর মধ্যে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখা ছিল এ ডিভাইসগুলো।
সূত্র জানায়, বুধবার সকাল দশটা ৫ মিনিটে ‘স্পর্শকাতর’ জায়গা থেকে গোয়েন্দারা তথ্য পান, দুপুর বারোটা ২০ মিনিটে ১ নম্বর গেট দিয়ে খালাস হবে এ ডিভাইস। এয়ারফ্রেইট ওয়্যারহাউস থেকে বৈধ কাগজ ছাড়াই মতিঝিলের মেসার্স আনাম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্যবাহী ভ্যানে লোড করা হবে।
সকালে খালাসের জন্য প্রথমে রাখা হয় দু’টি কার্টন। কোন কথা ছাড়াই দু’টি কার্টনকে সন্দেহ করে কেটে ভেতরে তল্লাশি শুরু করেন গোয়েন্দারা। যদি এ কার্টনে মিস হয় তাহলে সারাদিন সেই গেটে বেঁধে যাবে ভোগান্তি। আমদানিকারকরা অযথা হয়রানির অভিযোগ আনবেন শুল্ক গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে। তবে প্রথম কার্টন থেকেই বের হয়ে আসে মোবাইল এক্সেসরিজসহ ছোট ১১৪ কার্টন। ২৯ ফেব্রুয়ারি আমদানি হয় সেগুলো, যার এয়ারওয়েজ বিল (এডবি-বি) নম্বর ৬০৭-৬৭১১১১৪৪। পরের কার্টনে পাওয়া যায় ছোট ২৩১ কার্টন মোবাইল এক্সেসরিজ পণ্য। ২৩ মে আমদানি হয় সেগুলো, যার এয়ারওয়েজ বিল (এডবি-বি) নম্বর ৬০৭-৬৮৬৩২৫০২। দু’টি কার্টন থেকে পাওয়া যায় প্রায় ৪০ কেজি ওজনের ১২৭ পিস স্পর্শকাতর সেই জিপিএস ভেহিক্যাল ট্র্যাকার। হংকং থেকে মতিঝিলের ওই প্রতিষ্ঠান এসব আমদানি করেছে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটি এ ধরনের স্পর্শকাতর ডিভাইস আমদানি করেছে কি-না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোবাইল এক্সেসরিজের আড়ালে প্রতিষ্ঠানটি আর কি কি আমদানি করেছে তারও তদন্ত হচ্ছে। তবে স্পর্শকাতর ডিভাইস বিমানবন্দরে এবারই প্রথম আটক করা হয়েছে। ড. মইনুল খান জানান, এ জিপিএস আকাশ ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে ব্যবহৃত হয় বলেই বিটিআরসি’র অনুমতি নিতে হয়। নিরাপত্তার দৃষ্টিতে এসব অবৈধ জিপিএস নিরাপত্তা ঝুঁকির সৃষ্টি করে। যাচাই ও তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।