পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ট্রেডিং পর্যায়ে ভ্যাট আরোপের ফলে ক্ষতিগ্রস্তের হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীর। গত রোববার সংসদে পাশ হওয়ার পর বাজেট সংক্রান্ত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আয়রণ এন্ড ষ্টীল ইম্পোর্টারস এসোসিয়েশন এ প্রতিক্রিয়া জানান। তারা কাঁচামালের ট্রেডিং পর্যায়ে ১৫ শতাং ভ্যাট প্রত্যাহার, ভ্যাট আদায়ে আগ্রাসী ও নানামুখি হয়রানী বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
গতকাল বংশালে এসোসিয়েশনের কার্যালয়ে সংগঠনটির সভাপতি আবুজার গিফারী জুয়েল এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক নাসিরউল্লাহ, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমীর হোসেন নূরাণী, ব্যবসায়ী নেতা আবুল কাশেম, আহমেদ আলী, সেলিম স্বপন, কেরানীগঞ্জ সীট মালিক সমিতির সভাপতি মাহমুদ আলম, মীর হাজিরবাগ সীট মালিক সমিতির সভাপতি কাজী হাবিবুর রহমান হাবু এবং ১৪টি অংঙ্গ সংগঠন থেকে আগত সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক সহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
সভায় নেতৃবৃন্দ নতুন ভ্যাট আইন ও বাজেট সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরে আবুজার গিফারী জুয়েল বলেন, গত ৯ মাসে লৌহ ব্যবসায়ীরা লৌহ শিল্পের কাঁচামাল আমদানী করে কাস্টমস্ হাউজে ভ্যাট ও ট্যাক্স বাবদ ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব প্রদান করেন। এই বিপুল পরিমান রাজস্ব আহরনকৃত খাতটি ব্যপকভাবে বঞ্চিত ও অবেহেলিত। প্রাক বাজেট আলোচনার ফল বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি যা খুবই দুঃখজনক।
আমীর হোসেন নূরাণী বলেন, জাতীয় বাজেটে তারা বন্ড ও ভ্যাট রেজিস্টার কোম্পানীর অপব্যবহার রোধে বার বার অবতিহত করলেও বাজেটে এর কার্যকর কোন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
নাসিরউল্লাহ বলেন, লৌহ ব্যবসায়ীরা আমদানি পর্যায়ে কাস্টমস্ হাউজে ৬০ দশমিক ৩১ সকল শুল্ক ও করাদি পরিশোধ করছি। যার মধ্যে ভ্যাট-১৫ শতাংশ ও এটি (এ্যাডভান্স ট্যাক্স)-৫ শতাংশ পরিশোধ করা হয়। তারপরও ট্রেডিং পর্যায়ে আবারও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা আছে এর ফলে পাইকারী ও খুচরা পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে তাদের ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ও প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই লৌহ শিল্পের কাচামালের ট্রেডিং পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়েছিল। তার কোন প্রতিফলন ঘটেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।