Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হরিণাকুন্ডুতে পুলিশ কর্মকর্তার ছেলেকে পিটিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর

প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলা পরিষদের ভিতর থেকে বুধবার দুপুরে হারুন অর রশিদ মনি নামে এক ব্যক্তিকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছে। মনি একই উপজেলার ভালকী গ্রামে আনু হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন। হারুন অর রশিদ মনি অভিযোগ করেন, বুধবার দুপুরে তিনি হরিণাকুন্ডু উপজেলায় যান শিক্ষা অফিসার সুলতান আহম্মেদের কাছে। সেখানে যাওয়া মাত্রই সন্ত্রাসীরা তাকে কিল ঘুষি মেরে জখম করে। প্রাণ বাঁচাতে তিনি দৌড়ে শিক্ষা অফিসারের রুমে আশ্রয় নিয়েও রক্ষা পাননি। এরপর শিক্ষা অফিসারকে লাঞ্ছিত করে হারুন অর রশিদ মনিকে চ্যংদোলা করে গাড়িতে উঠিয়ে কাপাশহাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে এনে আনু হত্যা মামলায় কোন সাক্ষী দিতে পারবিনা বলে একটি মুচলেকা লিখে নিয়ে রাতে ছেড়ে দেন। এ ঘটনার সাথে আওয়ামীলীগ নেতা কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জোয়ারদার জড়িত বলে তিনি অভিযোগ করেন। তবে চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জোয়ারদার এ ঘটনা অস্বীকার করে জানান, তিন বা তার কোন লোকজন মনিকে তুলে আনেন নি। এলাকাবাসি তাকে ধরে এনেছিল। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার করেছি। লোকটি এলাকার যত মামলা মোকদ্দমা আছে সবগুলোর ইন্ধনদাতা। তিনি লিখিত দিয়েছেন এমন বিরোধ পূর্ন কাজ আর করবেন না। তার কাছ থেকে সাদা কাগজে কোন স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি।
গৌরীপুরে উপজেলা পরিষদের ৫টি অফিসের তালা ভেঙ্গে কাগজপত্র তছনছ
গৌরীপুর উপজেলা সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা পরিষদে বুধবার গভীর রাতে ৫টি অফিসের ১১টি কক্ষের তালা ভেঙ্গে আলমিরা ও ফাইল কেবিনেটের কাগজপত্রাদি তছনছ করা হয়েছে। উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, যুব উন্নয়ন অফিসের ৩টি রুমের তালা ভেঙ্গে আলমিরা ও ফাইল কেবিনেট তছনছ করা হয়েছে। এ সময় অন্য কোন জিনিসপত্র না নিয়ে শুধু নগদ মাত্র ১৮ শ টাকা চোরে নিয়ে যায়। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ২টি রুম, প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা অফিসারের ১টি রুম, নির্বাচন অফিসে নিচতলায় ষ্টোর রুম সহ দুটি কক্ষ, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৩টি রুমের তালা ভেঙ্গে চোর ভেতরে প্রবেশ করে আলমিরা ও ফাইল কেবিনেটের কাগজপত্রাদি তছনছ করলেও অন্যান্য কোন জিনিসপত্র নেয়নি।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এ ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় শুধু মাত্র নির্বাচন অফিস ছাড়া আর কোন অফিসে নাইটগার্ড ছিলনা। উপজেলা নির্বাচন অফিসার একেএম মূসা জানান, ঘটনার সময় তার অফিসের নাইট গার্ড দুতলায় ঘুমাচ্ছিল তাই নিচতলায় তালা ভাঙ্গার শব্দ সে শুনতে পায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হরিণাকুন্ডুতে পুলিশ কর্মকর্তার ছেলেকে পিটিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ