বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাধারণত কোন কবিতা পত্রিকার লিড নিউজ বা প্রধান শিরোনামের নিউজে প্রকাশিত হয় না। কিন্তু এমন কীর্তি স্থাপন করেছেন বাংলাদেশেরই একজন স্বার্থক ও স্বনামধন্য কবি ও সাংবাদিক নিয়ামত হোসেন। ভারতের বিখ্যাত পত্রিকা ‘দি স্টেটসম্যান’ পত্রিকায় ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় লিড নিউজে ছিল এই কবির কবিতা। সোমবার (১ জুলাই) রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) কনফারেন্স লাউঞ্জে কবি ও সাংবাদিক নিয়ামত হোসেনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। পিআইবি আয়োজিত ও নিয়ামত হোসেনের গুণগ্রাহীদের সার্বিক সহযোগীতায় সভাটি আয়োজিত হয়েছে।
বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র পত্রিকার প্রধান শিরোনামই নয়, উনার লেখা কবিতা দেশের প্রথম সারির পত্রিকায় সম্পাদকীয় পাতায় কলাম হিসেবেও ছাপা হয়েছে। যা অন্য কারও লেখার ক্ষেত্রে হয় নি। আর উনি অনেক উচ্চ মানের লেখাও লেখতেন। সমাজ বা ব্যক্তি মানুষ সর্বোপরি সবার জন্য দিকনির্দেশনামূলক হওয়া ছাড়াও সহজেই তার লেখাগুলো মানুষের মন কেড়ে নিয়েছে। তবে দেশের অনেক মানুষ আছে যারা তাকে চেনেন না। কেননা উনি একেবারেই প্রচারবিমুখ ছিলেন। ব্যাক্তিমানুষ হিসেবে তিনি নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন ও অত্যন্ত বিনয়ী মানুষ ছিলেন। জীবনে উনি মুষড়ে পড়েছিলেন তাঁর সহধর্মিণীর মৃত্যুতে ও ছেলের স্থায়ী প্রবাস জীবনের কারণে। তাছাড়া আমরাও তাকে তার যথার্থ সম্মানটুকু দিতে পারি নি। তিনি অত্যন্ত সুন্দর ছড়াও লিখেছেন কিন্তু শিশু একাডেমি পুরষ্কার পান নি। যদিও এসব বিষয়ে নিয়ামত হোসেনের কোন টান ছিল না। তিনি ছিলেন একেবারে নিভৃতচারী।
জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কষ্টে কাটিয়েছেন এই কবি উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, উনি জীবনের শেষের ভাগেও নিঃসঙ্গতার সঙ্গে কাটিয়েছেন। শেষ জীবনে উনি উনার বাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। যদিও অনেক বেশি নিবেদিত প্রাণ ছিলেন তিনি। খেলাঘর ছিল তার এক অনবদ্য সৃষ্টি। যেটার মাধ্যমে শুধু শিশু কিশোরদের সংঘবদ্ধ করা গেছে তাই-ই নয়। দেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক চিন্তাধারার বিকাশও এর মাধ্যমে ঘটেছে। তিনি যুদ্ধের সময় এপিএনে (সোভিয়েত ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র) কাজ করতেন। যারা আমাদের স্বাধীনতার ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। কমপক্ষে মার্কিনী হস্তক্ষেপ থেকে রক্ষা করেছে। তিনি ছড়াকার, কবি ও সাংবাদিক ছাড়াও প্যারডি লেখক, অনুবাদ, গল্পকারও ছিলেন। ১৯৬৭ বা ৬৮ সালে ‘এক ছিল রাজপুত্র’ নামের একটি বই পুরষ্কৃত হয়েছিল।
বক্তারা আরো বলেন, তিনি শারীরিকভাবে ততটা সুস্থ্য জীবন যাপন না করলেও মুখে হাসি লেগে থাকতো সব সময়। তিনি অনেক দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ ছিলেন। সামাজিক কর্মকান্ডে উনার শারিরীক পরিশ্রম কিছুটা কম ছিল, কারণ তিনি অসুস্থ্য থাকতেন। তারপরও উনি আমাদেরকে সঙ্গ দিয়ে অনেক কিছু শিখিয়ে গেছেন।
পিআইবি’র পরিচালনা বোর্ডের সভাপ্রধান আবেদ খানের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, দৈনিক জনকন্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, সাহিত্যিক হারুন উর রশীদ, পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ প্রমুখ। স্মরণ সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার রাশেদ রাব্বি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।