Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মন্ত্রিসভায় রদ-বদল নয়, পরিসর বাড়তে পারে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০১৯, ৩:০৯ পিএম

মন্ত্রিসভায় রদ-বদলের পরিবর্তে পরিসর বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

সোমবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানান ওবায়দুল কাদের
 
মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর একটা সংবাদ এসেছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনি কীভাবে নিউজ পেলেন। আমি জেনারেল সেক্রেটারি জানি না। আমাদের স্পেক্টেকুলেশন আর বাস্তবতার মধ্যে একটা পার্থক্য থাকতেই পারে।
 
ওবায়দুল কাদের বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক কিছুই হতে পারে। এটা (পরিসর বাড়ানো) এখনো গুঞ্জন-গুজবের পর্যায়ে আছে। প্রাইম মিনিস্টার তো আজ দেশের বাইরে যাচ্ছেন। কিছু হলে সেটা অবশ্যই জেরারেল সেক্রেটারি অব দ্য পার্টি হিসেবে আমি জানবো। সে ধরনের কিছু এখনো আমি জানি না।  
 
‘কেবিনেট সাফল-রিসাফলের বিষয়টা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। আমার মনে হয় কিছু কিছু পদ-পদবি এখনো খালি আছে। কাজেই এখানে রিসাফলিংয়ের চেয়ে এক্সপাংশনের বিষয়টাই ফোকাসড। এক্সপান্ড হতে পারে। যেমন- মহিলা ও শিশু, এখানে মন্ত্রী নেই।’
 
ওবায়দুল কাদের বলেন, ছয় মাসে তো একজনের কর্মকাণ্ড-পারফরমেন্সের মূল্যায়ন করা যায় না। অন্তত এক বছর, দেড় বছর, দু’বছর যাওয়ার আগে… এসব বিষয়গুলো এখন আছে। এখন এক্সপাংশন হবে। রদ-বদল হয়তো কারো দপ্তর পরিবর্তন হবে, এমন হয়ে গেছে। কিছু মাইনর একটা চেঞ্জ হয়েছে।
 
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৭ ফেব্রুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেন। শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় বর্তমানে ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিন জন উপ-মন্ত্রী রয়েছেন। তিন মাসের মাথায় মন্ত্রিসভায় সামান্য রদবদল আনা হয়। সে সময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল।
 
মন্ত্রিসভার পরিসর সহসাই বাড়ছে কিনা- প্রশ্নে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী চীন থেকে ফিরে এলে তখন এটা জানবো। আমার মনে হয় না খুব সহসাই হচ্ছে।
 
আপনি চীনে যাচ্ছেন- প্রশ্নে কাদের বলেন, আমি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি, আমাকে দেশেই থাকতে হবে। প্রয়োজন না থাকলে তো আমাদের যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমি যাওয়ার ইচ্ছাও প্রকাশ করিনি, আমার যাওয়ার প্রয়োজনও নেই। সেখানে দু’একটি বিষয় আছে, সচিবরা গেলেই চলবে। আমাদের সড়ক ও সেতু বিভাগের সচিব যাচ্ছে।
 
চীনের সঙ্গে কানেকটিভি সড়ক হওয়ার কথা ছিল- এটার অগ্রগতি নিয়ে কাদের বলেন, প্রজেক্ট আছে। এগুলো আলাপ-আলোচনা করে কিছু প্রজেক্টের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
 
সদস্য সংগ্রহ
আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্বাধীনতাবিরোধীদের পরিবারের সদস্যরা যুক্ত হতে পারবে কিনা- এ নিয়ে সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ব্যাপারে অবস্থান একেবারেই স্পস্ট। স্বাধীনতাবিরোধী, সাম্প্রদায়িক কাউকে স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন দেইনি।
 
‘তার মানে হচ্ছে এদের ব্যাপারে আমরা এদের কোনো অবস্থাতেই আমাদের দলের বা সরকারের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ সমর্থন করছি না, বিরোধিতা করছি। সে সিদ্ধান্ত থেকে আমরা এখনো সরে আসিনি।’
 
যাচাই প্রক্রিয়া নিয়ে কাদের বলেন, দলীয়ভাবে ও গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে খতিয়ে দেখবো।  
 
কাদের জানান, ১ থেকে ২০ জুলাই সদস্য সংগ্রহের বই সংগ্রহ করবে, ২১ তারিখ থেকে সদস্য সংগ্রহ করবো। মূলত এখানে ফোকাস হচ্ছে- জাতীয় নির্বাচন ও মেয়র ইলেকশনের মধ্যে দিয়ে বহু নতুন মুখ আওয়ামী লীগের মিছিলে যোগ দিয়েছে, নৌকার সমর্থন করেছে এবং নৌকার প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে। এই নতুন মুখদের দলের সদস্য হিসেবে নিতে চাই, যদিও তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড, তাদের আদর্শগত সমস্যা না হয়- এগুলো দেখেশুনে সদস্য সংগ্রহ শুরু করবো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মন্ত্রিসভা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ