পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, মন্ত্রিসভা থেকে বের হয়ে আসার ব্যাপারে একমত হয়েছেন বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তবে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এক সময় চাওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদে থাকা পার্টির নেতাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত পদ থেকে ছাড়ার বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবো। আলোচনা করেই এসব পদ থেকে সরতে চাই। এ ব্যাপারে পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ তারাও একমত।’ গতকাল রাজধানীর বনানীস্থ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় ‘রজনীগন্ধায়’ গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টি আয়োজিত পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় জাপার তিন নেতা রয়েছেন। এর মধ্যে একজন মন্ত্রী এবং বাকি দুইজন প্রতিমন্ত্রী। এছাড়ারও মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রসিডিয়াম সদস্য সোহেল রানা, যুগ্ম-মহাসচিব দেওয়ান আলী, গাজীপুর মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সাত্তার মিয়া, সদস্য সচিব জয়নাল আবেদিন প্রমুখ।
পার্টির শক্তি নিয়ে জাপার নতুন কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ‘নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে শক্তি। জনগণের মতামতের ভিত্তিতে আমাকে কাজ করতে হবে। নেতৃত্বের প্রতি আমার কোনো লোভ লালসা নেই। দেশের মানুষের কল্যাণে রাজনীতিতে এসেছি, নেতৃত্বে এসেছি। এরশাদ সাহেব আমাকে যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই দায়িত্ব আমি জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাবো।’ তিনি বলেন, ‘এরশাদ সাহেবের এক সিদ্ধান্তের কারণেই আজ জাতীয় পার্টিতে আবার জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। সারাদেশের মানুষের মাঝে এখন জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টিকে নিয়ে মানুষ আলোর পথ দেখছে। দুই দলের বাইরে মানুষ এখন জাতীয় পার্টিকে নিয়ে ভাবতে শুরু করছে।’ দলের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে যদি কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকে, সেটি দেশের মানুষের স্বার্থে ভুলে যেতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমাদের সবাইকে অতীত ভুলে গিয়ে সামনে গিয়ে যেতে হবে। পার্টির স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ভবিষ্যতে দলের মধ্যে আর যাতে কোনো বিশৃংখলা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি কেউ চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে দলের শৃঙ্খলাবিরোধী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘পল্লীবন্ধু আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তা পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছি। দলকে সুসংগঠিত করতে তৃণমূল থেকে আমাদের কাজ করতে হবে। দলের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।