Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈশ্বরদীতে প্রধানমন্ত্রীর ট্রেন বহরে গুলিবর্ষণের ঘটনায় ২৮ জনের জামিন নামঞ্জুর

পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার, ঈশ্বরদী উপজেলা রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৯, ২:৫৮ পিএম

বিগত ১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদীতে রেলওয়ে জংশনে শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে গুলিবর্ষণ ও হামলার মামলায় ২৮ আসামীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন পাবনার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়ারা জজ আদালত-১।

আজ রবিবার ২৮ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। আসামীদের লিভ টু আপীল বাতিল হওয়ার পার আদালত তাদের আবেদন না মঞ্জুর করেন। পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি কেএম আক্তারুজ্জামান আক্তার, পাকশীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাহাপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান রাজু, সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, রেজাউল করিম শাহীন, আজিজুর রহমান শাহীন, সেলিম আহমেদ, পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনিসহ ২৮ জনের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। নতুন আসামী তালিকাভুক্ত ঈশ্বরদীর সাবেক পৌর মেয়র মোখলেছুর রহমান বাবলু, জাকারিয়া পিন্টু, বিএনপি নেতা হুমায়ূন কবীর দুলাল প্রমুখ। আদালাত পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানার জারির আদেশ দেন ।

আসামিদের মধ্যে গত ২৫ বছরে ওসিয়া, আলী আজগর, খোকন, তুহিন ও আলমগীরসহ ৫ জন মৃত্যুবরণ করায় তাদের এই মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়।

এ বছরের ১৪ মে এ মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়। যুক্তিতর্ক শেষ হলে যে কোনো দিন রায় ঘোষণা করা বলে বিজ্ঞ আদালত ঘোষণা করেন। ইতোমধ্যে বাদী পক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষের ৫৬ জনের সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।

জানা গেছে, আওয়ামীলীগের তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে ট্রেন বহর নিয়ে খুলনা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছিলেন। ঈশ্বরদী স্টেশনে তাকে বহনকারী ট্রেন বহর যাত্রাবিরতি করলে অতর্কিত শেখ হাসিনার কামড়া লক্ষ্য করে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ ও ট্রেনে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় রেলওয়ে পুলিশ বাদী হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর মামলাটি পুনঃতদন্ত করে পুলিশ। তদন্ত শেষে আরও আসামীকে যুক্ত করা হয়। পাবনার ঈশ্বরদীর শীর্ষস্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে আসামি করা হয়। পরে আদালত অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠায়। ১৯৯৬ সালের শেষার্ধে সিআইডি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। প্রথম ৭ জন আসামীর বাইরে এ মামলায় নতুন আসামীভূক্ত হন ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি মকলেছুর রহমান বাবলু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শামসুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন বিশ্বাস, পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি কেএম আক্তারুজ্জামান আক্তার, পাকশীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, সাহাপুরের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান রাজু, সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, রেজাউল করিম শাহীন, আজিজুর রহমান শাহীন, সেলিম আহমেদ, পৌরসভার কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, বিএনপি নেতা ইসলাম হোসেন জুয়েল, শহীদুল ইসলাম অটল, আব্দুল জব্বার প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ