বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পেশা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে স্টোর অফিসার। অথচ, মাত্র ২৪ বছর বয়সে বিলাসবহুল গাড়ি ও বাড়িসহ শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। আওলাদ হোসেন জনি নামে এই স্টোর অফিসার রেলওয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা গ্রুপ অ্যান্ড কনস্ট্রাকশনে চাকরি করে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের লাকসাম-আখাউড়া ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের পাথর সরবরাহ কাজে সাব-কনট্রাক্টরদের জিম্মি করে কোম্পানির একজন বড় কর্মকর্তার যোগসাজশে নিম্ন মানের পাথরের ভুয়া বিল পত্র তৈরি করে জনি এই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযোগপত্র দাখিল করেছ। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল টেঙ্গরপাড়ার জাহাঙ্গীর ড্রাইভারের পুত্র এই আওলাদ হোসেন জনি টঙ্গী-ভৈরব ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদার তমা গ্রুপ অ্যান্ড কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে লেবার সুপারভাইজার হিসেবে চাকরি নেয়।
গত দুই বছর আগে লাকসাম আখাউড়া-ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হবার পর কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আওলাদ হোসেন জনিকে সেখানকার সাব-কন্ট্রাক্টরদের সরবরাহকৃত পাথরের বিলপত্র তৈরি করার দায়িত্ব দিয়ে পাঠায়। প্রাপ্ত তথ্যমতে এই প্রকল্পে কমবেশী ১৩ শত কোটি টাকা ম‚ল্যের ৭০ লক্ষ স্কয়ার ফুট পাথর সরবরাহের জন্য অন্তত ১০/১৫ জন সাব-কন্ট্রাক্টর নিয়োগ দেয় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত আওলাদ হোসেন জনির দায়িত্ব ছিল সাব-কনট্রাক্টরদের পাথরের ট্রাকের সংখ্যা, পাথরের মানসহ পরিমাণের হিসেব রেখে বিলপত্র তৈরি করে কোম্পানির ঢাকা অফিসে পাঠানো।
কিন্তু জনি সেখানে গিয়ে সাব-কনট্রাক্টরদেরকে বিল কাটার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে তাদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ আদায় করে ভুয়া বিলপত্র তৈরি করে কোম্পানিতে পাঠায়। ঠিকাদাররা ১০ ট্রাক পাথর পাঠালে সে ১২ ট্রাক পাথরের বিল করে ২ ট্রাক পাথরের বিল সে নিজে নিয়ে নেয়। শুধু তাই নয়, টাকার নেশায় উন্মত্ত হয়ে জনি বেনামে ঠিকাদার সাজিয়ে নিজেই পাথর সরবরাহ শুরু করে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হয়ে নিজেই ঠিকাদার সেজে পাথর সরবরাহ করে রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায়। আর এ থেকেই শুরু হয় তার বিলাসবহুল জীবন।
সে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে ঘোড়াশাল টেঙ্গরপাড়া গ্রামে নির্মাণ করে এক চোখ ধাঁধানো বিলাসবহুল বাড়ি। যার এক একটি দরজার ম‚ল্য দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। একেকটি ঝাড়বাতির ম‚ল্য এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। বিলাসবহুল গাড়ি ও উন্নত লাইফ-স্টাইল কোনো কিছুরই কমতি নেই। অভিযোগের ভিত্তিতে সাংবাদিকগণ তার বাড়ি গিয়ে তাকে খুঁজে পায়নি। হঠাৎ উন্নতির কারণ জিজ্ঞাসা করলে তার মা এবং ভাই অকপটে স্বীকার করে যে তারা গরিব ছিল। তার ছেলে জনি পাথরের ব্যবসা করে এত টাকার মালিক হয়েছে।
এ ব্যাপারে জনির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বাবার ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা এবং ইতালি প্রবাসী বোনের টাকায় এসব বাড়ি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।