মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমকে একা ফেলে চলে গেছেন তার স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া। সঙ্গে নিয়ে গেছেন ছেলে জায়েদ ও মেয়ে আল জলিলাকে। ব্রিটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, তিনি ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে জার্মানিতে অবস্থান করছেন। সেখানে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন এবং স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করেছেন। তার সঙ্গে রয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখ পাউন্ড। তা দিয়ে সেখানে তিনি নতুন জীবন পরিচালনা করতে চাইছেন। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ফেব্রুয়ারি থেকে প্রিন্সেস হায়াকে দেখা যাচ্ছে না।
৪৫ বছর বয়সী প্রিন্সেস হায়া সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন ৭ বছর বয়সী ছেলে জায়েদ ও ১১ বছর বয়সী মেয়ে আল জলিলাকে। তাদেরকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ফেরত দেয়ার জন্য বার্লিনের কাছে অনুরোধ করেছেন শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। কিন্তু তার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে বার্লিন। নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা প্রিন্সেস হায়াকে নিরাপত্তা দেবেন। এতে দুই দেশের মধ্যে ক‚টনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য, শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম দুবাইয়ের শাসক, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী। তিনি ৯০০ কোটি পাউন্ডেরও বেশি অর্থের মালিক।
ওদিকে বন্ধুজনদেরকে প্রিন্সেস হায়া বলেছেন, তিনি জার্মানিকে বেছে নিয়েছেন এ জন্য যে, ব্রিটেনের ওপর তিনি আস্থা রাখতে পারেননি। কারণ, তিনি ব্রিটেনে গেলে তাকে দেশে ফেরত পাঠাতো তারা।
অন্যদিকে জর্দানের বাদশাহ হোসাইনের মেয়ে প্রিন্সেস হায়ার এমন সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে পোস্ট দিয়েছেন শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম। তিনি এতে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনেছেন। বলেছেন, যার সঙ্গে ব্যস্ত থাকতে চাও তার কাছে যাও।
গত বছর একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয় যে, শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের এক মেয়ে শেখ শামসা আল মাকতুমকে দুবাইতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ২০০০ সালে সারে’তে অবস্থিত তার পারিবারিক ৭ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডের এস্টেটে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তারপর থেকে তার আর দেখা নেই। তবে পরিবার বলছে, তিনি দুবাইতে নিরাপদে আছেন। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর ও দি সান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।