Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুন্দরবনের সঙ্কটাপন্ন এলাকায় সিমেন্ট কারখানার পরিবেশগত ছাড়পত্র

বন এলাকার ৬ কিলোমিটারের মধ্যে হবে এসব কারখানা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৯, ৬:৫৬ পিএম

সরকার ঘোষিত সুন্দরবনের পরিবেশ সঙ্কটাপন্ন এলাকার মধ্যেই ৫টি সিমেন্ট কারখানাকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।

শনিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, "বাগেরহাট জেলার মংলা বন্দর শিল্প এলাকায় পরিবেশ দূষণকারী সিমেন্ট কারখানাগুলোকে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। কারখানাগুলো সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকা থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে স্থাপিত হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর এসব কারখানাগুলো নিয়মিত তদারকি করছে এবং কারখানাগুলো উদ্যোক্তাদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে যাতে করে তারা পরিবেশ দূষণ করতে না পারে"।

"পাশাপাশি, সেখানে আরও শিল্প সংক্রান্ত বিষয়াবলী রয়েছে যেমন এলপিজি প্লান্ট, কিন্তু সেগুলো পরিবেশ দূষণীয় নয়", যোগ করেন শাহাব উদ্দিন।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, "সুন্দরবনে সুন্দরী গাছের সংখ্যা কিছুটা কমতে থাকলেও গেওয়া গাছ তুলনামূলক বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৮৫ সালে সুন্দরবনের ২০ শতাংশ গাছ ছিল সুন্দরী, কিন্তু ২০১৩ সালে তা হয়েছে ১৮ শতাংশ। অপরদিকে এ সময়ে গেওয়া গাছ ৪.৫ শতাংশ থেকে ৫.২৫ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে"।

প্রসঙ্গত, সুন্দরবন রিজার্ভ ফরেস্টের বাইরের চতুর্দিকে ১০ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকাকে সরকার প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করছে। আর এসব সিমেন্ট কারখানাগুলো সঙ্কটাপন্ন এলাকার ৬ কিলোমিটারের মধ্যে। এছাড়াও সিমেন্ট কারখানা বিশ্বব্যাপী বায়ু দূষণের অন্যতম উৎস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সুন্দরবন

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ