রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সাতক্ষীরা থেকে : সাতক্ষীরা জেলায় এবার গমের আবাদ বেড়েছে। গম চাষে খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা গম চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। কৃষি বিভাগ জেলায় এবার গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ১৫৬৬ হেক্টর জমিতে। কিন্তু আবাদ হয়েছে ২১৩৩ হেক্টর জমিতে। আবাদ বেশি হয়েছে ৫৬৭ হেক্টর জমিতে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় গমের আবাদ হয়েছে ৭৫০ হেক্টর, কলারোয়া উপজেলায় আবাদ হয়েছে ২৮০ হেক্টর, তালা উপজেলায় ১৪২ হেক্টর, দেবহাটা উপজেলায় ২০ হেক্টর, কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৫০ হেক্টর, আশাশুনি উপজেলায় ৬৫ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলায় ২৬ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। সাতক্ষীরা সদরের কৃষক রহমান জানান, তিনি এবার চার বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছেন। জমির হারি, কীটনাশক ও অন্যান্য খরচসহ তার মোট খরচ হবে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। যদি বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তাহলে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার গম বিক্রি করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে গম চাষে ঝামেলা একটু বেশি। উঁচু জায়গা ছাড়া নিচু জমিতে গমের আবাদ হয় না। উঁচু জায়গায় গমের আবাদ করতে হয় বলে সেচ দিতে হয় বেশি। একবার চারা রোপণের পর তিন থেকে চার বার ঘাস বেছে (সাফ) সার ও পোকা মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। তবে গম ভালো হলে ধানের চেয়ে এটি লাভাজনক বলে তিনি জানান। সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান জানান, জেলায় ধান চাষের পাশাপাশি কৃষকরা গম চাষ করে থাকেন। গম চাষে ঝুঁকি কম থাকে। জেলা সদরে এবার গমের আবাদ বেশি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সদরের অধিকাংশ জমি উঁচু। উঁচু জায়গায় বোরো আবাদের খরচ বেশি হয়। সেক্ষেত্রে কৃষকরা গম চাষ করে থাকেন। গম চাষে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।