পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় টাঙ্গাইলের মো. মাহবুবুর রহমান ওরফে মাহেবুলকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার বিরুদ্ধে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা, তার ছেলেসহ পরিবারের ৭ সদস্যকে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদেশ দেয়া হয়। চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনূর ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি আমির হোসেন এবং বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার। রায় ঘোষণকালে ট্রাইব্যুনালের চীফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, রানা দাস গুপ্ত, মোকলেসুর রহমান বাদল, জেয়াদ আল মালুম, তাপস কান্তি বল উপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এমএইচ তানিম।
এছাড়া রণদা প্রসাদ সাহার সঙ্গে নিহত ছেলে ভবানী প্রসাদসাহার স্ত্রী শ্রীমতি সাহা, ছেলে রাজীব প্রসাদ সাহা এবং মহাবীরপতি উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় ট্রাইব্যুনালের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত বলেন, আসামি মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগই প্রসিকিউশন সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। রণদা প্রসাদ সাহা সারাজীবন মানবতার পক্ষে কাজ করেছেন। তাকে হত্যা করা, অপহরণ করা, তার ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় গণহত্যা চালিয়েছে পাকিস্তানের সেনাদের সহযোগিতায়। এ অপরাধে সঙ্গে ছিলেন মাহবুবুরের পিতা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল ওয়াদুদ ও বড় ভাই মান্নান। এ দু’জনই মারা গেছেন। ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, তারা যে অপরাধ করেছেন তা গুরুতর।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, রণদা প্রসাদ সাহার পৈতৃক নিবাস ছিলো টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। সেখানে তিনি কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করে বিভিন্ন শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। নারায়ণগঞ্জে তিনি পাটের ব্যবসাও করতেন। বসবাস করতেন নারায়ণগঞ্জের খানপুর সিরাজদিখানে। এ বাড়ি থেকেই তাকে, তার ছেলে ও অন্যদের ধরে নিয়ে যান আসামি মাহবুবুর রহমান ও তার সহযোগীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।