Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইপিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানাতে সতর্কবাণী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০১৯, ৬:০০ পিএম

প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে তাদের নতুন আবিষ্কার ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি (আইপি) নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে। আইপিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের হাতিয়ার বানানোর বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানির সদর দপ্তরে প্রধান আইন কর্মকর্তা সং লিউপিং বলেন, আইপি হলো নতুন উদ্ভাবনের ভিত্তিপ্রস্তর এবং একে কেন্দ্র করে রাজনীতি করলে তাতে বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি হুমকির সম্মুখীন হয়।

সং বলেন, যদি রাজনীতিবিদগণ বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন, তাহলে তারা পেটেন্ট সুরক্ষা পদ্ধতির বিশ্বাসকে নষ্ট করে দিবেন৤ যদি কিছু সরকার কোম্পানিগুলো থেকে তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ কেড়ে নেন তাহলে এটি বৈশ্বিক উদ্ভাবনের ভিত্তিকে ভেঙ্গে দেবে। বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের সম্মান এবং সুরক্ষা: উদ্ভাবনের ভিত্তি” শিরোনামে গবেষণাপত্রটি হুয়াওয়ের অনুশীলন, উদ্ভাবনে এর অবদান এবং আইপিআরের সুরক্ষা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছে। এখানে বলা হয়েছে, ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হুয়াওয়ের সফলতার মূলে আছে নতুনত্ব এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ। ২০১৮ সালের শেষ পর্যন্ত হুয়াওয়ে ৮৭ হাজার ৮০৫টি পেটেন্টকে অনুমোদন নিয়েছে। যার মধ্যে ১১ হাজার ১৫২টি আমেরিকান পেটেন্ট। ২০১৫ সাল থেকে হুয়াওয়ে লাইসেন্সের উপর রাজস্ব বাবদ ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছে।

হিসেব মতে, নিজেদের পেটেন্ট একত্রিত করা ছাড়াও হুয়াওয়ে অন্যান্য কোম্পানির আইপি বাস্তবায়ন করার জন্য রয়্যালটি বাবদ ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি ডলার পরিশোধ করেছে এবং এই পরিমাণের ৮০ শতাংশের কাছাকাছি পরিশোধ করা হয়েছে আমেরিকান কোম্পানিকে।

সং বলেন, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি (আইপি) হলো আইন দ্বারা স্বীকৃত মানুষের ব্যক্তিগত সম্পদ। এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক হলে তা আইনিভাবে সমাধান করা উচিত। গত ত্রিশ বছর ধরে কোন আদালত সিদ্ধান্ত দেয়নি যে, হুয়াওয়ে কোন আইপি চুরি করেছে এবং এ কারণে হুয়াওয়েকে কখনো আদালতে কোন জরিমানাও দিতে হয়নি।

তিনি আরেও বলেন, হুয়াওয়ের সহযোগিতা পূর্ণ এবং শ্রদ্ধাশীল আচরণ এই সাধারণ ঘটনায় প্রকাশ পায় যে, হুয়াওয়ের প্রযুক্তিগত অনেক সাফল্য রয়েছে যার ফলে হুয়াওয়ে ৩জি, ফোরজি এবং ফাইভজি তে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে এবং এই কারণে যদিও অনেক দেশ হুয়াওয়ে থেকে সরাসরি পণ্য কিনছে না তবুও তারা হুয়াওয়ের গুরুত্বপূর্ণ পেটেন্ট গুলো ব্যবহার করে হুয়াওয়ে প্রযুক্তিতে যে সুফল বয়ে এনেছে তাতে অংশগ্রহণ করছে।

সং পেটেন্ট বিষয়ে হুয়াওয়ের অবস্থানকে পরিষ্কার করে বলেন, আমাদের কোম্পানি কখনই পেটেন্ট পোর্টফোলিওকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে না। বরং হুয়াওয়ে পেটেন্ট লাইসেন্স করার জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে প্রাসঙ্গিক দলের ক্ষেত্রে একটি উন্মুক্ত এবং সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব ‘ফ্র্যান্ড (ফেয়ার, রিজোনেবল অ্যান্ড নন-ডিস্ক্রিমিনেটরি) নীতি’ অনুসরণ করবে।

সং আরোও বলেন, সব সময়ের মতো, হুয়াওয়ে বিশ্বের সামনে তাদের প্রযুক্তি প্রদর্শন করতে সম্পূর্ণ তৈরি। এতে ফাইভজি অন্তর্ভুক্ত। এই অন্তর্ভুক্তির মধ্যে মার্কিন মুলুকের প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তারাও আছেন। আমরা সম্মিলিতভাবে এই শিল্পখাতকে সামনে এগিয়ে নিতে পারি এবং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযুক্তির উন্নয়ন সাধন করতে পারি।

হুয়াওয়ের সাফল্যের ক্ষেত্রে টেকসই উদ্ভাবন কিভাবে সহায়তা করেছে তা নথিতে আরও বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে; হুয়াওয়ের উদ্ভাবন কিভাবে বৃহৎ সামাজিক মূল্য সৃষ্টি করেছে; এবং তৃতীয় পক্ষের আইপিআর এবং এর নিজস্ব ব্যবহারের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের অবস্থান পরিষ্কার করে বলা আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হুয়াওয়ে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ